গত ১৬ মাস ধরে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। বাখমুত,মারিয়োপোল,ডনেৎস্ক ও লুহানস্কের মতো এলাকা হাতছাড়া হলেও মস্কোর কাছে আত্মসমর্পণ করেনি পূর্ব ইউরোপের এই দেশ। এই অসীম বীরত্বের মধ্যেই আরও একটি কারণে চর্চায় রয়েছে ইউক্রেন। তা হল সেখানকার মহিলাদের সৌন্দর্য। যুদ্ধের মধ্যেও যা নিয়ে মেতে রয়েছেন নেট নাগরিকদের একাংশ।
বর্তমানে বিশ্বের কোন দেশে সবচেয়ে বেশি সুন্দরী মহিলার বাস? এই নিয়ে সম্প্রতি সমীক্ষা চালায় ইউরোপের একটি সংস্থা। সেখানে তালিকার একেবার শীর্ষে রয়েছে ইউক্রেনের মেয়েরা।
ইউক্রেনীয় তরুণীদের সুন্দরী হিসেবে গণ্য করার পিছনে বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নজর রাখা হয়েছে। গায়ের রং, চোখের মণি বা উচ্চতার মতো শারীরিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি স্বভাবকে গুরুত্ব দিয়েছেন সমীক্ষকরা। তাঁদের দাবি, অনায়াসেই ইউক্রেণীয় তরুণীর সঙ্গে ডেটিংয়ে যেতে পারেন বিশ্বের যে কোনও দেশের পুরুষ। এক্ষেত্রে প্রতারণার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
এই তালিকায় ইউক্রেনের ঠিক পরেই রয়েছে সুইডেনের নাম। প্রথম দশের মধ্যে থাকা দেশগুলির বেশিরভাগই পূর্ব ইউরোপ, বলকান ও স্ক্যান্ডিনেভিয়া এলাকার। পশ্চিম ও মধ্য ইউরোপের মধ্যে তালিকার উপরের দিকে জায়গা পেয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি।
উল্লেখ্য, সুন্দরী হলেও সবচেয়ে বেশি হিংস্রতার তকমা পেয়েছে ইজরায়েলের মেয়েরা। বিশ্বের একমাত্র ইহুদি দেশের সমস্ত নাগরিককেই সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হয়। এই দেশের মেয়েদের দু’বছরের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে কাজ করতে হয় সেনাবাহিনীতেও। জঙ্গি দমন অপারেশনগুলিতে ছেলেদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অংশ নেন ইজরায়েলের মেয়েরা।
কয়েকদিন আগেই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃত্যু হয় ইউক্রেনের তরুণী সাহিত্যিক ভিক্টোরিয়া অ্যামেলিনার। মাত্র ৩৭ বছরেই প্রাণ হারান তিনি। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর ক্রামতোর্স্কের একটি রেস্তরাঁয় পিৎজা খেতে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও সাহিত্যিক তখনই সেখানে আছড়ে পড়ে রুশ মিসাইল। গুরুতর আহত অবস্থায় অ্যামেলিনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু শত চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।