কর্মীদের জন্য লিঙ্গভিত্তিক পোশাকের নীতিমালা শিথিল করল কান্তাস এয়ারলাইনস।
নতুন পোশাক নীতি অনুসারে, পুরুষ কর্মীরা মেকআপ করতে পারবে ও লম্বা চুল রাখতে পারবেন। নারী কর্মীদের দায়িত্ব পালনকালে মেকআপের বাধ্যবাধকতা থাকবে না। হিলও পরতে হবে না।
গত বছর কান্তাসকে চলমান পোশাক নীতি বাদ দেয়ার আহ্বান জানায় অস্ট্রেলিয়ার ট্রেড ইউনিয়ন। তাদের মতে, একবিংশ শতাব্দীর সঙ্গে এ ধরনের নিয়ম মানানসই নয়। এর আগে ভার্জিন আটলান্টিক লিঙ্গনিরপেক্ষ ইউনিফর্ম নীতি গ্রহণ করে। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারলাইনসগুলোর জন্য নীতি শিথিল সহজ হয়।
এখন ফ্ল্যাট জুতা পরার পাশাপাশি নারী ও পুরুষ উভয় কর্মীই বড় ঘড়িসহ একই ধরনের গহনা পরবেন।
নতুন নিয়মের আরেক অর্থ হলো পাইলট ও ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টসহ সব কর্মী চুল লম্বা রাখতে পারবেন। সেক্ষেত্রে পনিটেইল বা বেঁধে রাখতে হবে।
এক বিবৃতিতে কান্তাস কর্তৃপক্ষ বলেছে, আমরা বৈচিত্র্যের জন্য গর্বিত। সেসঙ্গে আমাদের নীতিগুলো হালনাগাদ করছি। নতুন নিয়ম কান্তাসের বাজেট এয়ারলাইনস জেটস্টারের কর্মীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
এ পদক্ষেপকে কর্মীদের জন্য বড় জয় বলে উল্লেখ করেছে অস্ট্রেলিয়ান সার্ভিসেস ইউনিয়ন (এএসইউ)। বলা হচ্ছে, পোশাক নীতি হাস্যকর ছিল। যেমন মেকআপ স্টাইল গাইড ও পুরুষদের তুলনায় নারীদের ছোট ঘড়ি পরার নিয়ম। তবে নতুন নীতির অধীনে কান্তাস কর্মীদের আগের মতোই ট্যাটু ঢেকে রাখতে হবে। কোনো পোশাকের সঙ্গে কী পরা যাবে এ বিষয়েও কিছু নিয়ম রয়েছে। ২০১৯ সালে এয়ার নিউজিল্যান্ড ‘কর্মচারীদের তাদের ব্যক্তিত্ব ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রকাশ করার’ অনুমতি দেয়। ফলে ট্যাটু ঢেকে রাখার নীতির অবসান ঘটে।