বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১২:১৭ অপরাহ্ন

কানাডার ভিজিট ভিসা

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের জনপ্রিয় এক গন্তব্য উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডা। প্রত্যেক বছর লাখ লাখ মানুষ এই দেশটিতে পাড়ি জমান। দেশটির ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ অভিবাসী আর বাকি ৪ দশমিক ৯ ভাগ মানুষ ফার্স্ট নেশন। যে কারণে কানাডাকে অভিবাসীদের দেশ হিসেবে বলা হয়। তবে অনেকেই জানেন না কীভাবে কানাডার ভিসা পাওয়া যাবে।

জীবন মানের বিবেচনায় কানাডা অবস্থান শীর্ষ তিনে। কানাডা বিশ্বের অভিবাসিদের এক নম্বর পছন্দনীয় দেশ হিসেবে এরই মধ্যে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। উন্নত জীবনযাপন, চাকরি বা পড়াশোনার জন্য কানাডা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় দেশ। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর প্রায় সব দেশের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ কানাডা। এছাড়া অনেকে ভ্রমণের জন্য কানাডায় যেতে চায়।

ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের পছন্দের একটি দেশ হচ্ছে ম্যাপেল পাতার দেশ কানাডা। নায়াগ্রা জলপ্রপাত কিংবা ব্যানফ ন্যাশনাল পার্কের মতো পপুলার ট্যুরিস্ট স্পটগুলোর জন্য এটি সর্বদাই ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের পছন্দের শীর্ষে থাকে। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার কেন্দ্রস্থল হিসেবে কানাডার শহরগুলোর রয়েছে আলাদা আবেদন, বিশেষ করে টরন্টো, কুইবেক, ভ্যানকুভার ইত্যাদি শহরের পপুলারিটি প্রায় সবারই চোখে পড়ে।

ভ্রমণ ভিসায় কানাডা যাওয়া সহজ। তবে ভিসা পাওয়া একটু কঠিন। ছুটি কাটাতে বা ভ্রমণ করতে যারা কানাডা যেতে চান তাদের ভিসা দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ভিসা প্রার্থীর কাছে জিজ্ঞেস করা কেন যেতে চান। দূতাবাসের যে কর্মকর্তা আপনার সাক্ষাৎকার নেবেন তার কাছে যদি মনে হয় ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও আপনার না ফেরার আশঙ্কা রয়েছে তাহলে আপনাকে ভিসা দেয়া হবে না।

কানাডার ভিসিট ভিসার জন্য আপনার যা যা লাগবে-

১. কমপক্ষে দুটি ফাঁকা পৃষ্ঠা সহ কমপক্ষে ৬ মাসের জন্য বৈধ এমন পাসপোর্ট।
২. সকল পুরানো পাসপোর্ট।
৩. ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
৪. ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট।

কানাডার ভিসিট ভিসা পাবেন যেভাবে:

১. অনলাইনে ভিসা ফরমে আপনার নিজের পেশাগত, ভ্রমণ সংক্রান্ত, পরিবারের তথ্যসমূহ সঠিকভাবে দিতে হবে।

২. আপনি যদি প্রথমবারের মতো কানাডার ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই বায়োমেট্রিক জমা দিতে হবে। কানাডা ভিসা-র জন্য বায়োমেট্রিক দেয়া বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশে কানাডা-র বায়োমেট্রিক পার্টনার ভিএফএস গ্লোবালের ঢাকা, সিলেট এবং চট্টগ্রামের অফিসের গিয়ে আপনাকে ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ দিতে হবে।

৩. আবেদনের পর সাধারণত ভ্রমণ ভিসার জন্য ১ থেকে ২ মাস এবং অভিবাসী ভিসার জন্য ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে অভিবাসী ভিসার অনেক রিকোয়ারমেন্ট রয়েছে, সেগুলো অবশ‍্যই আপনাকে পূরণ করতে হবে। ভ্রমণ ভিসার জন্য কঠিন কোন শর্ত সাধারণত নেই।

৪. ভিসা এপ্রুভ হলে আপনি ইমেইলেই নোটিফিকেশন পাবেন। এরপর ভিসা অ্যাপ্রুভাল লেটারসহ ভিএফএস গ্লোবালে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। ১০ দিন পর ভিসা সহ পাসপোর্ট ফেরৎ পাবেন। ভ্রমণ ভিসা সাধারণত ১০ বছরের জন্য ইস্যু করা হয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com