কানাডায় কঠিন হচ্ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান। অভিবাসন কর্মসূচি সীমিত করার পদক্ষেপ নিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এতে কানাডার প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের চাপ বাড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
১ সেপ্টেম্বর রোববার একটি প্রতিবেদনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম ফক্স নিউজ জানিয়েছে, কানাডিয়ান সরকার বিশ্বের সবচেয়ে অনুমোদিত অভিবাসন নীতিগুলোর একটিকে অর্থাৎ সীমান্ত পেরিয়ে আসা শ্রমিক অভিবাসীদের প্রবাহ রোধ করায় ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়তে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত সপ্তাহেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ঘোষণা করেন, কানাডা সেদেশে অবস্থিত স্বল্প আয়ের অস্থায়ী বিদেশি কর্মীর সংখ্যা কাটছাঁট করতে চলেছে। এই ঘটনা ঘিরে ট্রুডো সরকারের অভিবাসন নীতি নিয়ে বহু জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। এমনকি সেদেশে স্থায়ী বসবাসকারীর সংখ্যা নিয়েও তার সরকার ভাবছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সামনের বছরই কানাডায় ভোট। তার আগে, সেদেশে ট্রুডো সরকারের অভিবাসন নীতি নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠছে। দেশটির একটা বড় অংশের মানুষের অভিযোগ কানাডায় অনেক বেশি সংখ্যক অভিবাসী আনছেন ট্রুডো। এতে কিছুটা চাপে পড়েছে ট্রুডো সরকার। তাই অভিযোগের পাল্লা কমাতে ট্রুডো সরকারের এই সিদ্ধান্ত।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন ২০২১ এবং ২০২৩ সালে সীমান্ত দিয়ে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী অনুপ্রবেশের জন্য সমালোচিত হয়েছেন। ভোটারদের কাছে সমস্যাটি বেশ গুরুতর হয়ে দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে কানাডায় ট্রুডো সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে দেশটিতে অভিবাসী সমস্যা আরও বাড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।