প্রাচীন ধর্ম, দর্শন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তীর্থ গ্রিস। এ কারণে ইউরোপের পর্যটকদের বড় অংশের গন্তব্য থাকে দেশটির ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো। তারই একটি অ্যাক্রোপলিসে অতিরিক্ত জনসমাগমের জন্য প্রবেশ সীমিত করেছে দেশটির সরকার।
গ্রিসের সংস্কৃতি মন্ত্রী লিনা মেনডোনি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, অ্যাক্রোপলিসে প্রতিদিন ২৩ হাজার দর্শনার্থী আসেন। এটি অনেক বড় সংখ্যা।
আরো জানান, স্থানটি রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও দর্শনার্থীরা পরিদর্শনের জন্য বেছে নিচ্ছেন সকালের সময়টা। এতে করে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের পরিস্থিতি সামলাতে বেগ পেতে হয়। অতিরিক্ত জনসমাগমের কারণে আমরা নতুন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছি। এটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী বছরের এপ্রিলে চালু হবে।
নতুন ব্যবস্থায় প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনায় ইলেকট্রনিক টিকিটের মাধ্যমে উন্নত সেবা দেয়া হবে।
অ্যাক্রোপলিসে রয়েছে খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দিতে পাহাড়ের ওপর নির্মিত প্রাচীন স্থাপনা ও ধ্বংসাবশেষ। নিদর্শনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত দেবী এথেনাকে উৎসর্গ করে নির্মিত পার্থেনন মন্দির।
ইউনেস্কোর মতে, অ্যাক্রোপলিসের স্মৃতিস্তম্ভগুলো প্রাচীন গ্রিসের সর্বশ্রেষ্ঠ স্থাপত্য ও শৈল্পিক ঐতিহ্য বহন করে।”
এ বছর গরমের শুরুর দিকে তী্ব্র তাপদাহের কারণে অ্যাক্রোপলিস বন্ধ করে দেয়া হয়। গত আগস্টের শেষের দিকের যে ছবি পাওয়া যায়, তাতে দেখা যায় সাম্প্রতিক দাবানলের ধোঁয়ায় কাবু হয়ে আছে স্থাপনাগুলো।