বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল একেএম মফিদুর রহমান বলেছেন, ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক রুটে ফ্লাইট অক্টোবরের মধ্যে চালু করতে চাই। সেজন্য কাজ করে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে বোয়িং আমাদের সহায়তা করছে। তবে এই বছরের শেষ নাগাদ এই ফ্লাইট চালু হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আজ শনিবার দুপুরে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে বেবিচক চেয়ারম্যানের সঙ্গে এটিজেএফবি ডায়ালগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর নামে বিমানবন্দর করার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে মফিদুর রহমান বলেন, বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে। ২০৩৫ সালে চাপ বাড়লে তখন ভাবা হবে। তবে সিলেট, সৈয়দপুর ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ভালোভাবে চালু হলে কেন্দ্রীয় বিমানবন্দরে চাপ কমবে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর সম্প্রসারণ নিয়ে তিনি বলেন, জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে যাবতীয় কাজ এগিয়ে চলছিল। কিন্তু বাজেট সংকটের কারণে সেই কাজ এখন করা যাচ্ছে না।
যাত্রীদের সঙ্গে বিমানকর্মীদের খারাপ আচরণ নিয়ে নিয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, যারা খারাপ আচরণ করছে আমরা তাদের শাস্তি দিচ্ছি। অর্থনৈতিক জরিমানা করা হচ্ছে। আচরণ কেমন হবে এ নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাদের একটি ব্যাচ বা প্রতীক থাকে যা দেখে আমরা বুঝতে পারি।
সম্প্রতি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিষয় পর্যবেক্ষণে আমেরিকা থেকে একটি টিম এসেছিল। তারা ঢাকা ও সিলেট বিমানবন্দর পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বলে জানান তিনি।
যাত্রীদের ট্রলি ভোগান্তি নিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, ট্রলি ম্যানেজম্যান্টকে সুপারভিশন করা হচ্ছে। অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এসময় এ দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির কাছে জানতে চান। পরে সেই কর্মকর্তা জবাব দেন।
যাত্রীদের সুবিধা দিয়ে টাকা নেওয়া হয় এমন অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা অনেককে চাকরিচ্যুত করেছি। তবে এমন কিছু ঘটলে তিনি অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।
তিনি জানান, আগামী ২০২৪ সালে আইকাও এর একটি অডিট হবে। এ অডিটের আগে অবশ্যই বিমানবন্দর ও সিভিল এভিয়েশন নিয়ে দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশন করার অনুরোধ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে এটিজেএফবির সভাপতি তানজীম আনোয়ার ও সেক্রেটারি জিয়াউল হক সবুজসহ সংগঠনের নেতা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।