ইউরোপের ২৭টি দেশে ‘শেনজেন ভিসা’ চালু রয়েছে। এর মাধ্যমে শেনজেনভুক্ত দেশগুলোর যেকোনো একটির ভিসা দিয়ে বাকি ২৬টি দেশে ভ্রমণ করা যাবে। শেনজেন ভিসার মতো ভিসাপদ্ধতি চালু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যেও। ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাতে এক নতুন যুগের সূচনা হলো।
প্রস্তাবিত ‘ইউনিফায়েড ট্যুরিজম ভিসা’ বা একক ভিসাব্যবস্থার অনুমোদন দিয়েছে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল বা জিসিসিভুক্ত দেশগুলো। সম্প্রতি ওমানে জিসিসি মন্ত্রীদের ৪০তম বৈঠকের পর সংস্থাটির মহাসচিব জসিম আল বুদাউই একক ভিসাব্যবস্থায় অনুমোদনের ঘোষণা দেন। এই ব্যবস্থা ২০২৪ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ছয় দেশের ব্লকজুড়ে কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। এটি চালু হলেই একটি ভিসায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত ও কাতার জিসিসিভুক্ত এই ছয় দেশ ভ্রমণ করা যাবে। নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে পর্যটকের সংখ্যা ১২ কোটিতে উন্নীত করতে চায় জিসিসিভুক্ত দেশগুলো।
এইচএসবিসির তথ্যমতে, বৈশ্বিক অর্থনীতির খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও, বিশেষ করে করোনা মহামারি-পরবর্তী সময়ে এ খাত থেকে আয় বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জিসিসির একক ভিসাব্যবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ‘গেম চেঞ্জার’ হবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা।