বিশ্বে দ্রুতগতিতে বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার। এতে দিনদিন বাড়ছে রোবটের চাহিদা। বড় বড় সব প্রতিষ্ঠানগুলো এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
সেইসঙ্গে চলছে গণহারে কর্মী ছাঁটাই। গুগল, ফেসবুক, অ্যামাজন, টুইটারসহ আরও বেশকিছু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাই করেছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠান যখন কর্মী ছাঁটাই করছে, তখন আবার কর্মী খুঁজছে রোবটিক্স কোম্পানিগুলো।
শিল্প বিপ্লবের শুরুর দিকে অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, যন্ত্রের ফলে হয়তো মানুষ চাকরি হারাবে। কিন্তু বৃহত্তর অর্থে এমনটা ঘটেনি। মানুষের আয়ত্তেই ছিল কল-কারখানা পরিচালনার দায়িত্ব।
সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নতির ফলে একই শঙ্কা আবার দেখা দিয়েছে। বহু বিশেষজ্ঞের মতে, মানুষের চাকরির বাজারের একটা বড় অংশ দখল করে নিতে পারে এআই। যদিও আবার অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, অটোমেশনের কারণে একইসঙ্গে তৈরি হবে নতুন কর্মক্ষেত্রেও।
এআই সংযুক্ত অটোমেশন বা রোবট ব্যবহার করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শুধু উৎপাদন বা ডেলিভারির কাজ করানো সম্ভব, বলছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তবে এখনো নিত্য নতুন প্রযুক্তি তৈরি এবং বাস্তবায়নের জন্য কিন্তু প্রয়োজন মানুষকেই।
তাইতো বিশ্বব্যাপী অনেক প্রযুক্তি কোম্পানি এখন কর্মী খুঁজতে মরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের রোবটিক্স কোম্পানি জিপলাইন কমপক্ষে ১০০ জন কর্মী নিয়োগ করবে। সেই হিসেবেই কর্মী খুঁজছে প্রতিষ্ঠানটি।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক প্রযুক্তি কোম্পানি ভেবু ল্যাবস। ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে অ্যাকাউন্টিং এবং ফেব্রিকেশনের জন্য ৪০ জনেরও বেশি কর্মী নিয়োগ দিবে প্রতিষ্ঠানটি।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ২০২৩ সালের প্রতিবেদন বলছে, সব ক্ষেত্রে নয়, কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হবে এআই। রোবটিক্স ব্যবহার করার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনাময় খাতগুলোর মধ্যে আছে ইলেকট্রনিক্স, এনার্জি টেক, ইউটিলিটি ও ভোগ্যপণ্য। রোবট এবং অটোমেশন সেক্টরের কাজ সহজ করবে বলছে সংস্থাটি।
অটোমেশনের কারণে যেভাবে ছাঁটাই বাড়বে, ঠিক সেভাবেই বাড়বে নতুন কর্মসংস্থানও। তাই রোবট ব্যবহার এবং তৈরিসহ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মীদের আরও দক্ষতা বাড়ানো পরামর্শ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাসহ (আইএলও) বিভিন্ন সংস্থার।