চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ ও ইইউ প্লাসভুক্ত দেশগুলোতে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছে ২৫ হাজার ৬০৫ জন বাংলাদেশি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলামের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংস্থাটির পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে, অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ইইউ প্লাসভুক্ত বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কয়েক হাজার বেড়েছে। গত বছর এই সময়ে মোট ১৭ হাজার ৭৩৮ জন বাংলাদেশি ইইউ ও ইইউ প্লাসভুক্ত বিভিন্ন দেশে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিল।
ওই হিসাবে চলতি বছর আশ্রয় আবেদনের এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৭ হাজার ৮৬৭ জন বেশি।
এই বাংলাদেশিরা প্রথমবারের মতো জোটের কোনো দেশে আশ্রয় চেয়েছে। তবে কোন দেশে কত বাংলাদেশি আশ্রয় চেয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
আগস্টে এক লাখ আবেদন
চলতি বছরের আগস্ট মাসে ইইউ প্লাসভুক্ত দেশগুলোতে মোট এক লাখ আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছে।
ইইউর সংস্থাটি জানিয়েছে, আবেদনের এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি।
এদিকে গত কয়েক বছরের মতো, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানের নাগরিকরাই আশ্রয় আবেদনের শীর্ষে অবস্থান করছে। আশ্রয়ের আবেদন এভাবে বাড়তে থাকায় চাপের মুখে জোটের দেশগুলো।
সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, আগস্টে ১৮ হাজার সিরীয় ও ১১ গাজার আফগান ইইউ প্লাস দেশগুলোতে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছে।
এর মধ্যে সিরীয়দের আবেদনের সংখ্যা গত বছরের আগস্টের তুলনায় ৫৩ শতাংশ বেড়েছে। আর আফগান নাগরিকদের আশ্রয় আবেদন সংখ্যা অনেকটা কাছাকাছি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
আগস্টে প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশির আবেদন
চলতি বছরের আগস্টে মোট দুই হাজার ৬৬৫ জন বাংলাদেশি ইইউ প্লাস দেশগুলোতে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছে। অবশ্য এই সংখ্যাটি গত বছরের একই সময়ের, অর্থাৎ আগস্টের তুলনায় কমেছে।
২০২২ সালের আগস্টে মোট তিন হাজার ১৮১ জন বাংলাদেশি ইইউ প্লাস দেশগুলোতে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিল।
চলতি বছর মার্চে এই দেশগুলোতে সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি আবেদন করে। তখন তিন হাজার ৮৮৬ বাংলাদেশির পক্ষ থেকে আবদেন জমা হয়।