আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স শেষ পর্যন্ত বেশি ক্ষতি করবে নারীদের। ফলে নারী ক্ষমতায়নের পথ অনেকটা বাধাগ্রস্ত হবে। এমনই একটি খবর দিয়েছে বুধবার ওয়াশিংটন পোস্ট। খবরের শিরোনাম হচ্ছে ‘এআই উইল টেক মোর জবস ফ্রম উইমেন দ্যান মেন বাই ২০৩০’ (২০৩০ সালের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পুরুষের চেয়ে নারীর কাজ বেশি নেবে)। ম্যাককিনজি গেøাবাল ইন্সটিটিউটের বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে আমেরিকায় এক তৃতীয়াংশ কর্মঘন্টা অটোমেটেড বা স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাবে। এর মধ্যে অটোমেশনের পর্যায়ভুক্ত হবে সবচেয়ে বেশি ফুড সার্ভিস, কাস্টমার সার্ভিস, সেলস এবং অফিস সাপোর্ট। এইসব সেক্টরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নারী কাজ করে।
ম্যাককিনজি গেøাবাল ইন্সটিটিউটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে কমপক্ষে এক কোটি ২০ লক্ষ কর্মীকে তাদের কাজ পরিবর্তন করতে হবে। তাদের অন্য কোনো কাজ খুঁজে নিতে হবে। এর জন্য তাদের নতুন দক্ষতা (স্কিল) অর্জন করতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, লেবার মার্কেটও নতুন এভেন্যু খুঁজে বের করবে। বিশেষ করে সরকারের গ্রিন টেকনোলজিতে নতুন কর্মসংস্থান হবে। এদিকে হেলথকেয়ার সেক্টরেও বিপুল কর্মসংস্থান প্রয়োজন হলেও তা পূরণ হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে। হেলথ কেয়ার সেক্টরেও বেশির ভাগ নারী কর্মী কাজ করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন যারা কম বেতনে কাজ করে, তারা পড়বে বেশি সংকটে। যারা বছরে ৩৮,২০০ ডলারের নিচে কাজ করে তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশকেই তাদের ক্যারিয়ার বা কাজ পরিবর্তন করতে হবে। যেমন রিটেইল সেলসপারসন, ক্যাশিয়ার, যেসব পদে নারীরাই কাজ করে প্রধানত তারা কাজ হারাবে। যদিও এই কাজ হারানোর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। যেমন বড় বড় সুপারমার্কেট, কস্টকো, বিজে’স এর মত হোলসেল রিটেইল স্টোর, স্টপ এন্ড শপ বা টার্গেট, হোম ডিপো, লোস এর মত স্টোরগুলোতে ক’বছর আগে থেকেই ক্যাশিয়ারের কাউন্টারে পে করার পাশাপাশি সেলফ সার্ভিস পেমেন্ট সেন্টারে পে করা যায়। এর জন্য এক ডজন মেশিনে একজন বা মাত্র ২ জন হেলপ পারসন প্রয়োজন হয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিছু কাজকে অবলুপ্তই করে দিচ্ছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের কারণে সবচেয়ে লাভবান হচ্ছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ও লইয়াররা। তবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আপাতত হেলথ কেয়ার ওয়ার্কার ও এগ্রিকালচার ওয়ার্কারদের ওপর প্রভাব ফেলবে না। কারণ তাদের হাতেকলমে কাজ করতে হয়।