বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ অপরাহ্ন

আমেরিকানদের ক্রেডিট কার্ডের দেনা ট্রিলিয়ন ছাড়াল

  • আপডেট সময় শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ভিতরে ভিতরে আমেরিকার স্বল্প আয়ের মানুষদের আর্থিক সংগতি ক্রমশ কমে যাচ্ছে। সেই রকমই একটি খবর দিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট বুধবার। খবরে বলা হচ্ছে গত ১০ বছরের মধ্যে আমেরিকার স্বল্প আয়ের মানুষ গাড়ির লোন পরিশোধে এবং ক্রেডিট কার্ডের বিল পে করতে সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে পড়েছে। ব্যাংকিংএর ভাষায় যাকে বলা হয় ডেলিংকুয়েন্সি।

পোস্ট বলছে, প্যান্ডেমিকের সময় এই ধরনের আর্থিক অবস্থার মানুষরা তাদের সঞ্চয় ভেঙে এবং ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছে। ভেবেছে অর্থনীতি ভালো হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। মুদ্রাস্ফীতি এবং মূল্যস্ফীতি ক্রমশ কমে অর্থনীতি ভালোর দিকে গেলেও মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ তাদের বাড়ি, গাড়ির লোন ও ক্রেডিট কার্ডের বিল নিয়ে সমস্যায় পড়েছে। বিশেষ করে ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে।

ব্যাংকরেটডটকমের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে বর্তমানে ক্রেডিট কার্ডের ইন্টারেস্ট রেট বেড়েছে রেকর্ড হারে। এই রেট গড়ে এখন ২০.৬ পারসেন্ট। শুধু তাই নয়, এই রেট ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই সপ্তাহেই ফেডারেল রিজার্ভ ইঙ্গিত দিয়েছে শিগগিরই ইন্টারেস্ট রেট আবার বাড়ানো হবে। যদিও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বর্তমানে আমেরিকার অর্থনীতি রক-সলিড। মুদ্রাস্ফীতি কমতির দিকে, আনএমপ্লয়মেন্টের হার অনেক কম এবং মানুষের ইনকাম বাড়ছে।

তবে প্যান্ডেমিকের সময় বিল পরিশোধসহ দৈনন্দিন খরচের জন্য অনেক নি¤œ ও স্বল্প আয়ের মানুষকে ক্রেডিট কার্ডের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। ফলে তারা মাসে মাসে মিনিমাম পেমেন্ট করতে সমর্থ হয়েছে। এখন ইন্টারেস্ট রেট বেড়ে যাওয়ায় মূল বেড়ে গেছে। সেই বিল পরিশোধ করতে তারা হিমশিম খাচ্ছে। সেই সাথে তা তাদের ক্রেডিট লাইনেও আঘাত হানছে।

ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, ২০১৯ সালের পর ৭ কোটি অতিরিক্ত ক্রেডিট কার্ড ইস্যু হয়েছে। ফলে এখন আমেরিকানদের ক্রেডিট কার্ডের দেনা ছাড়িয়েছে এক ট্রিলিয়ন ডলার। আমেরিকার ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম।

আমেরিকাতে গাড়ির ব্যবসা যেমন ট্রিলিয়ন ডলারের, তেমনই অটো-লোনের ব্যবসাও। কিন্তু গাড়ির দাম গত ৪ বছর আগের তুলনায় বেড়ে যাওয়ায় অটো লোনের পরিমাণও বেড়েছে। এই লোন পরিশোধের কোনো কোনো কিস্তি মিস হওয়ায় তা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ফেলছে ক্রেতা ও অটো লোন গ্রহিতাদের। গত জুলাই মাসের আগে আমেরিকায় একটি গাড়ির গড় দাম ছিল ৩৭,৭০০ ডলার। আর এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮,৩০০ ডলার। পক্ষান্তরে জুলাই মাসের আগে একটি ইউজড কারের গড় দাম ছিল ১৯,৪০০ ডলার। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭,০০০ ডলার।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com