ফিলিস্তিনের গাজায় এখনো একান্নবর্তী পরিবারের দেখা মেলে। মা-বাবা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী এমনকি চাচা-চাচিরাও একই বাড়িতে একই সঙ্গে বসবাস করেন।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের পর গাজার এমন অসংখ্য একান্নবর্তী পরিবার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আবার ভাগ্যক্রমে কিছু পরিবারের দুই বা একজন সদস্য বেঁচে গেছেন। ইসরায়েলিদের নির্বিচার বিমান হামলায় মুহূর্তের মধ্যেই এসব পরিবার পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে গেছে।
ইসরায়েলের এমন বর্বরতার শিকার হওয়াদের একজন হলেন ১৮ বছর বয়সী দিমা আল-লামদানি। গাজার এই তরুণী— এক ভাই ও দুই চাচাত ভাই-বোন ছাড়া পরিবারের সব সদস্যকে ইসরায়েলের বোমা হামলায় হারিয়েছেন।
তিনি পরিবারের সঙ্গে উপকূলীয় শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে থাকতেন। যখন ইসরায়েল বোমা হামলা শুরু করে এবং গাজাবাসীকে নিরাপত্তার জন্য দক্ষিণ দিকে সরে যেতে বলে— তখন পরিবারের সব সদস্যকে নিয়ে দিমা-আল-লামদানির বাবা দক্ষিণ দিকের খান ইউনিসে চলে আসেন। কিন্তু সেখানেও বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এতে পরিবারের সব সদস্যকে হারান এ তরুণী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ তরুণী আক্ষেপ করে বলেছেন, পরিবারের সবাই মারা গেলেও; তিনি কেন বেঁচে রইলেন।