বিদেশি মুদ্রার অভাবে ধুঁকছে পাকিস্তান। কার্যত ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। এমন পরিস্থিতিতে দেশের বিখ্যাত করাচি বন্দর অন্য দেশের হাতে তুলে দিচ্ছে পাকিস্তান। সোমবার ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার। মূলত দেশের আয় বাড়াতেই এই বন্দরটি সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হবে। তার ফলে আর্থিক লাভ হবে বলেই আশাবাদী পাকিস্তানের প্রশাসন।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের আবেদন অগ্রাহ্য করে ঋণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে আইএমএফ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমতাবস্থায় পাকিস্তানের পক্ষে ফের নতুন করে আবেদন করা ছাড়া আর কোনও পথই খোলা নেই। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছ থেকে ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু এর জন্য অনেক শর্ত চাপিয়েছিল আইএমএফ। যা কম করার আবেদন করেছিল পাক প্রশাসন। কিন্তু তা খারিজ করে ঋণের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে আইএমএফ।
নতুন করে ঋণের আবেদন করে তার অনুমতি পেতেও দীর্ঘ সময় লাগবে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি আয় বাড়ানোর রাস্তা খুঁজতে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রশাসন। সূত্রের খবর, নিজেদের বন্দর এবার ভাড়া দিতে চাইছে পাকিস্তান। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি সংস্থাকে এই বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হবে। পাকিস্তানের ক্যাবিনেট কমিটির সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছে। যদিও সরকারি কাগজপত্র এখনও তৈরি হয়নি।
বাণিজ্যে সুবিধার কারণে গত বছরেই করাচি বন্দরটি ব্যবহার করতে চেয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই বন্দর ভাড়া দিয়ে কতখানি উপার্জন করতে পারবে পাকিস্তান, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। কয়েকদিনের মধ্যেই করাচি বন্দরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন আরব আমিরাতের সরকারের প্রতিনিধিরা। তবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, খুব সতর্ক হয়ে এই চুক্তি করতে হবে পাকিস্তানকে। কারণ এর আগে আরব সরকারের সঙ্গে এমন চুক্তি হয়নি সেদেশের। তবে দেশের অর্থনীতি বাঁচিয়ে রাখতে মরিয়া সরকারের কাছে আর কোনও রাস্তাও খোলা নেই বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
সূত্র: এনডিটিভি