সোমবার বিকেল থেকে বাতিল হওয়া এসব ফ্লাইটের যাত্রীরা অনেকেই এয়ারপোর্টের বাইরে ক্যাম্পিং করছেন। এদিকে বিমানবন্দর সহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় হাজার হাজার মানুষ অন্ধকারে রাত কাটিয়েছে। নিউ জার্সি ও নিউ ইয়র্কের লং আয়ল্যান্ডে বৃহত্তম পাওয়ার আউটেজ হয়েছে।
সোমবারের ঝড় নিউ জার্সিতে সবচেয়ে শক্তিশালী আঘাত হানে। সেখানে জারি করা হয় ফ্ল্যাশ ফ্লাডের সতর্কতা। আজ মঙ্গলবারেও পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
একুওয়েদার জানাচ্ছে মঙ্গলবারটিও দিনভর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বৃষ্টি ও বজ্রঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে এই অঞ্চলে। বিশেষ করে বিকেলের পরের দিকে ও সন্ধ্যায় বড় ঝড় আঘাত হানতে পারে।
প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে বন্যার সৃষ্টি হতে পারে। দমকা হাওয়া ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও দেখছে আবহাওয়া বিভাগ।
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের সঙ্গে নিউ ইয়র্ক সিটি ইমার্জেন্স ম্যানেজমেন্টও পরিস্থিতি কড়া পর্যবেক্ষণে রেখেছে। বন্যাপ্রবন এলাকাগুলোকে বাড়তি সতর্কতার জন্য সেখানকার অধিবাসীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন নিউইয়র্ক ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট কমিশনার জাক ইসকল।
মঙ্গলবার ঝড়ের সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৬০ ডিগ্রিতে নেমে আসতে পারে। আগামীকাল বুধবারও আবহাওয়া মূলত মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। এছাড়া থেকে থেকে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ তাপামাত্রা থাকবে ৭৮ ডিগ্রি।
বৃহস্পতি ও শুক্রবারে আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে তখনেো বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও ঝড়ো হাওয়া বইবে। এই দুই দিন তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৮০ ডিগ্রি থাকবে। শনিবার ও রোববারেও হতে পারে ঝড় ও বৃষ্টিপাত।