কুয়াকাটার কোথাও নেই ময়লা আবর্জনা। পরিচ্ছন্ন দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকত। সৈকতে পাতা বেঞ্চিও সেজেছে নতুন সাজে। সৈকতে ব্যবস্থা করা হয়েছে পয়ঃনিষ্কাশনের। নতুন করে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী চেঞ্জিং রুম। সৈকতের বিভিন্নস্থানে বসেছে অস্থায়ী রকমারী দোকান পাট।
এ ছাড়া কুয়াকাটার রাধাকৃষ্ণ মন্দির প্রাঙ্গণে তৈরি করা হয়েছে প্যান্ডেল ও স্টেজ। নতুন করে রং তুলির ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৭ জোড়া যুগল প্রতিমা।
পঞ্জিকা মতে, আজ (রোববার) বিকাল ৩ টা ৪৫ মিনিটে শুরু হবে পূর্ণিমা। থাকবে পরদিন সোমবার দুপুর ২ টা ৪৬ মিনিট পর্যন্ত। তাই প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এই তিথীতে কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হবে রাস পূজা। সৈকতে আগমন ঘটবে হাজারো পূণ্যার্থীর। এসকল পূণ্যার্থী বরণে এমন আয়োজন করেছে উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কুয়াকাটা আগমন ঘটেছে অনেক পূণ্যার্থীর।
কুয়াকাটার শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের কমিটি সূত্রে জানা যায়, আজ সন্ধ্যায় মঙ্গল ঘট স্থাপন ও সন্ধ্যা আরতীর মধ্য দিয়ে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। রাতভর চলবে পূজার্চনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। এ উৎসবে অংশ নেবে দেশের নামি দামি শিল্পীরা। সোমবার ভোরে সৈকতে গঙ্গাস্নানের মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হবে রাস পূজা। তবে কলাপাড়ার মদন মোহন সেবাশ্রমে আগামী ৫ দিন ব্যাপী এ উৎসব চলবে।
কুয়াকাটার শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের সহ-সভাপতি কাজল বরন দাস জানান, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার এখানে ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যায় আমাদের পূজার্চনা শুরু হবে। ইতোমধ্যে অনেক ভক্ত কুয়াকাটায় এসেছেন। আমরা লক্ষাধিক মানুষ সমাগমের আশা করছি।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, কুয়াকাটা বিভিন্ন পর্যটন স্পটে আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া মাঠে টহল টিম এবং সাদা পোশাকের আইনশৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশও কাজ করছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।