আকাশভ্রমণে যাবেন আর ছবি তুলবেন না, তা কি হয়। সে কথা ভেবেই হয়ত অনেকে ভ্রমণে বের হওয়ার সময় চশমার পরিবর্তে কন্ট্যাক্ট লেন্স পরার পক্ষে। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, প্লেনে চেপে ঘুরতে গেলে দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকতে হয়। চাইলেও খুব বেশি হাঁটাচলা করার সুযোগ নেই। অনেকটা সময় একভাবে বসে থাকলে অস্বস্তি লাগতে পারে। তাই ঘুরতে যাওয়ার সময় সুবিধার জন্য ঢিলেঢালা পোশাক পরাই ভালো।
শুধু পোশাক নয়, ভ্রমণে যাওয়ার সময় আরও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
আঁটসাঁট অন্তর্বাস : ঘুরতে যাওয়ার সময়ে ঢিলেঢালা পোশাক পরতে পছন্দ করেন অনেকে। কিন্তু অন্তর্বাস নিয়ে কেউ খুব একটা মাথা ঘামান না। চিকিৎসকরা বলছেন, অন্তর্বাসের শক্ত ইলাস্টিক কোমর, কুঁচকি, পিঠ, স্তনের ভাঁজে চেপে বসে যায়। দীর্ঘসময় এ অবস্থায় থাকলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এভাবে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা একটানা প্লেনে এক জায়গায় বসে থাকলে পায়ের উপরেও অতিরিক্ত চাপ পড়ে। পা অবশও হয়ে যেতে পারে।
ইলাস্টিক না দেওয়া কোমরের বেল্ট : আসন থেকে ওঠা বা বসার সঙ্গে সঙ্গে দেহের বিভিন্ন অংশ সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়। তাই বিশেষজ্ঞরা দেহের আকারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এমন পোশাক পরতে পরামর্শ দেন। কোমরে দড়ি বাঁধা পেটিকোট বা চুড়িদার পরে দীর্ঘসময় প্লেনে বসে থাকলে রক্তজামাট বেঁধে যেতে পারে। সেখান থেকে ‘ডিপ ভেন থ্রম্বোসিস’-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ওই ধরনের পোশাকের বদলে কোমরে ইলাস্টিক দেওয়া স্কার্ট, ট্রাউজার্স, শর্টস পরা যেতে পারে। সঙ্গে প্লেনের আসনে বসেই অল্প শরীরচর্চা করা যাবে।
কন্ট্যাক্ট লেন্স : নির্দিষ্ট একটি উচ্চতায় যাওয়ার পর প্লেনের অন্দরের আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে পড়ে। ফলে চোখের উপরের স্তরের জলীয় পদার্থও শুকিয়ে যায়। অনেকেরই ‘ড্রাই আইজ’-এর সমস্যা বেড়ে যায়। এসময়ে চোখে দীর্ঘসময় যদি কন্ট্যাক্ট লেন্স পরে থাকেন সেক্ষেত্রে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই লেন্সের বদলে চশমা পরার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।