অভিবাসী নীতি নিয়ে জোট দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধের কারণে ডাচ সরকারের পতন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট। দেড় বছর আগে সরকার গঠন করা হলেও জোট দলগুলো বেশ কিছুদিন ধরে অভিবাসন নীতির বিরোধিতা করে আসছে।
নেদারল্যান্ডসের স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, নভেম্বরে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। মার্ক রুটের রক্ষণশীল ভিভিডি পার্টি অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রবাহকে সীমিত করার চেষ্টা করছিল। তবে তার এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছিল জুনিয়র কোয়ালিশন পার্টনাররা।
শুক্রবার (৭ জুলাই) সংকট নিয়ে আলোচনায় মার্ক রুটের সভাপতিত্বে চারটি দল অংশগ্রহণ করে। আলোচনায় তারা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। এর ফলে মার্ক রুট সন্ধ্যায় একটি জরুরি মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে সরকারের পতন নিশ্চিত করেছেন। শনিবার তিনি রাজার কাছে পদত্যাগপত্র হস্তান্তর করবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে মার্ক রুট বলেছেন, মন্ত্রীরা নতুন নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রিসভা হিসাবে তাদের কাজ চালিয়ে যাবেন।
মার্ক রুট মন্ত্রিসভার পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সিদ্ধান্তটি আমাদের জন্য খুব কঠিন ছিল, জোটের অংশীদারদের মধ্যে মতামতের পার্থক্য ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘সব পক্ষ সমাধানের মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্তে আসার অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু অভিবাসন সংক্রান্ত পার্থক্য দূর করা দুর্ভাগ্যবশত অসম্ভব।’
অন্যদিকে খ্রিস্টান ইউনিয়নের মুখপাত্র টিম কুইজস্টেন বলেন, ‘চারটি পক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা অভিবাসনের বিষয়ে কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারবে না। তাই তারা এই সরকারের শাসন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
৫৬ বছর বয়সী মার্ক রুট নেদারল্যান্ডসের দীর্ঘকালীন প্রধানমন্ত্রী। ২০১০ সালের পর চতুর্থবারের মতো তিনি ২০২২ সালে পুরনরায় ক্ষমতা গ্রহণ করেন।