ভারতীয়দের একাংশের মধ্যে আমেরিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশ করার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে বলে জানা গেছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে এমন খবরই প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশনের তরফে বলা হয়েছে, প্রায় ৪২ হাজার শরণার্থী ভারতীয় আমেরিকার দক্ষিণের সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ওই দেশে প্রবেশ করেছে বলে খবর। গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই হিসাব মিলেছে।
তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, আগের আর্থিক বছরে যে পরিস্থিতি ছিল তার চেয়ে এবার কার্যত দ্বিগুণ সংখ্যক ভারতীয় আমেরিকায় প্রবেশ করেছে। বেশিভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, আমেরিকায় প্রবেশের পরে ভারতীয়দের অনেকেই সীমান্ত টহল দলের হাতে ধরা পড়ে। এরপর অ্যাসাইলামে চলে যায়। আসলে অনেক ক্ষেত্রে পরিচিতদের অনুকরণ করে তারা আমেরিকায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে। মূলত কাজের সন্ধানে আর ভালো একটা জীবনের সন্ধানে তারা আমেরিকায় চলে যান।
অনেকে আবার ট্রাভেল এজেন্ট ও পাচারকারীদের সহায়তায় তারা আমেরিকায় প্রবেশের চেষ্টা করেন। এমনকি বর্ডার পার করিয়ে দেয়ার নাম করে ট্রাভেল এজেন্ট ও পাচারকারীরা প্রচুর অর্থ দাবি করে। মূলত একটা উন্নত দেশের হাতছানিকে এড়াতে পারেন না বহু ভারতবাসী। কোনোরকমে আমেরিকায় যেতে পারলেই উন্নত জীবন এমনটাই ভাবেন অনেকে।
তবে শুধু ভারত থেকে নয়, গোটা বিশ্ব থেকেই অবৈধ শরনার্থীরা আমেরিকায় প্রবেশের চেষ্টা করেন। গোটা বিশ্ব থেকে প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষকে ২০২৩ আর্থিক বছরে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
মাইগ্রেসন পলিসি ইনস্টিটিউটের গবেষক কলিন পুতজেল কাভানাউ জানিয়েছেন, গোটা বিশ্বজুড়েই এই মাইগ্রেসন হয়ে থাকে। আমরা দেখেছি অন্যান্য দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ মার্কিন সীমান্ত পেরিয়ে আমেরিকায় প্রবেশ করে। এদিকে এর আগে মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস , ইকুয়েডর থেকে মানুষ আমেরিকায় যাওয়ার চেষ্টা করতে। তবে এবার দেখা যাচ্ছে, ভারতীয়রাও কার্যত অবৈধভাবে আমেরিকায় প্রবেশের চেষ্টা করছে। একাধিক রিপোর্টে একথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে এভাবে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের প্রবণতা বাড়তে থাকায় যারা বৈধভাবে আমেরিকায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন তাদের ভিসা জনিত সমস্যা তৈরি হচছে। ভিসা ও গ্রিন কার্ডের জন্য অপেক্ষার সময়ও ক্রমেই বাড়ছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস