সৌদি আরবে বেসরকারি খাতের কর্মীরা একই সঙ্গে দুটি চাকরি করতে পারবেন। সৌদি আরবের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বেসরকারি খাতের কর্মজীবীরা এক সঙ্গে দুটি চাকরি করতে পারবেন।’
মন্ত্রণালয় থেকে আরও বলা হয়েছে, দুটি চাকরি করার ক্ষেত্রে কর্মীকে কর্মসংস্থান চুক্তি এবং চুক্তিতে একসঙ্গে দুটি চাকরি করা নিষেধ আছে কি না তা নিশ্চিত হতে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিধিগুলো যাচাই করে নিতে হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ এবং আকর্ষণীয় ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ করে তোলার চেষ্টা করছে সৌদি আরব।
এর আগে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় একটি প্রমাণীকরণ (অথেনটিকেশন) পরিকল্পনা উন্মোচন করে। এই পরিকল্পনায় কিওয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বছরের প্রথম চার মাসের মধ্যে তাদের ২০ শতাংশ কর্মীর চুক্তিপত্র নথিভুক্ত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এভাবে বছরের পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে ৫০ শতাংশ ও তৃতীয় প্রান্তিকের মধ্যে ৮০ শতাংশ কর্মীর চুক্তিপত্র নথিভুক্ত করতে বলা হয়।
চুক্তিবদ্ধ পক্ষগুলোর অধিকার সংরক্ষণ, কর্মচারীর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক একটি স্থিতিশীল শ্রম পরিবেশ তৈরি এবং দেশে চাকরির বাজার সম্প্রসারিত করার জন্য এ পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আগামী বছরে কার্যকর হতে যাওয়া বিধি সংস্কারগুলো চাকরি পরিবর্তন এবং নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়া প্রবাসী কর্মীদের দেশে যাওয়া ও ফিরে আসার ভিসা ইস্যুর বিষয়গুলো নির্ধারণ করবে। এটির আওতায় প্রবাসী কর্মীরা নিয়োগদাতার অনুমতি ছাড়াই সৌদি আরবের বাইরে ভ্রমণ করতে পারবেন।
সৌদি আরবে প্রায় ৩ কোটি ২২ লাখ মানুষের বাস। দেশটিতে বিশাল সংখ্যক অভিবাসী রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ২৬ লাখ বাংলাদেশি সৌদি আরবে থাকেন। বাংলাদেশের রেমিট্যান্সে যুক্তরাষ্ট্রের পরই দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস এই দেশ।