জ্বালানি তেলনির্ভরতা কাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে কাজ করছে সৌদি আরব। গুরুত্ব দেয়া হয়েছে পর্যটন খাতকে। আকাশপথে পরিষেবা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দেশকে প্রস্তুত করা হচ্ছে অত্যাধুনিক ও বিলাসবহুল পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে।
সমুদ্রপথে পর্যটন অভিজ্ঞতা দিতে শত ভাগ সরকারি বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ক্রুজ সৌদি। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব মালিকানায় উন্মুক্ত করা হলো ক্রুজলাইন আরোইয়া ক্রুজ। ক্রুজলাইনটি প্রায় ৫০ হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান তৈরি করবে।
অ্যারাবিয়ান ও রোইয়া শব্দের সংযোগে তৈরি হয়েছে আরোইয়া নাম, যেখানে রোইয়া শব্দের অর্থ স্বপ্ন।
কর্তৃপক্ষের দাবি অনুসারে, আরোইয়া ক্রুজলাইন নাগরিক ও পর্যটনপ্রেমীদের জন্য তৈরি করবে নতুন সম্ভাবনা। উন্মোচন করবে সামুদ্রিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ। দেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আভিজাত্যের পাশাপাশি নিখুঁত আরবীয় অভিজ্ঞতা দেয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্রুজলাইনটি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। পৃথক ব্র্যান্ড হিসেবে আরোইয়া ক্রুজ তৈরি করতে চায় আস্থার জায়গা। স্থানীয় সংস্কৃতির সঙ্গে থাকবে আধুনিকতা ও প্রযুক্তির মিশেল।
ব্র্যান্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লার্স ক্ল্যাসেন দাবি করেছেন, ক্রুজ সৌদির উচ্চাকাঙ্ক্ষাপূর্ণ অভিযাত্রায় আরোইয়া নতুন মাইলফলক হয়ে থাকবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ক্রুজ পরিষেবাকে পরিবেশ ও জলবায়ুর অনুকূল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে।
ক্রুজ সৌদির অন্তর্ভুক্ত থাকলেও আরোইয়া ক্রুজ স্বায়ত্বশাসিত ব্র্যান্ডের ভূমিকা পালন করবে। এগিয়ে নেবে আরব অঞ্চলের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা। ক্রুজের কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনা দলের নেতৃত্ব দেবেন গাসান খান।
ব্র্যান্ডটিকে পৃথক ব্যবসা হিসেবেই পরিচালনা করবেন তিনি। ২০৩৫ সালের মধ্যে ১৩ লাখ পর্যটক আকর্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে এর মধ্যে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চাকরি দেয়া হবে ৫০ হাজার ব্যক্তিকে।
গাসান খান বলেছেন, ‘এটা সত্যিই দারুণ এক মুহূর্ত। সৌদি আরবকে আন্তর্জাতিক পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত করার ক্ষেত্রে উদ্যোগটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
আরোইয়া ক্রুজের চলাচল পথ ও প্যাকেজপ্রতি মূল্যনির্ধারণ প্রক্রিয়া এখনো চলমান। বাণিজ্যিকভাবে শিগগিরই তা ঘোষণা করা হবে।