মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন

সেনসাস রিপোর্ট অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসযোগ্যতা কমছে

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৩

অস্ট্রেলিয়ার বড় শহরগুলির মধ্যে মেলবোর্ন, সিডনি এবং অ্যাডিলেড, প্রায়শই বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহর হিসাবে র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকে, তবে সবাই কিন্তু উঁচু রেট দিতে চায় না। একটি নতুন প্রতিবেদনে দেখা যায় ফার্স্ট নেশনস, নন-বাইনারী (যারা নারী বা পুরুষ কোন নির্দিষ্ট লিঙ্গ পরিচয় ধারন করেন না) এবং মহিলাদের জীবনযাপনের কিছু খারাপ অভিজ্ঞতার কথা শোনা যায়।

অভিযোগ আছে যে ফার্স্ট নেশনস এবং অন্যান্য কিছু সম্প্রদায়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বসবাসযোগ্যতা কমছে।

ডেটা গবেষণা সংস্থা প্লেস স্কোরের একটি নতুন স্টেট অফ প্লেস রিপোর্ট থেকে দেখা যায় যে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসযোগ্যতা সামগ্রিকভাবে অনেক অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য হ্রাস পেয়েছে।

তবে ফার্স্ট নেশনস জনগণ এবং নন-বাইনারী গ্রুপগুলি সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী।

প্লেস স্কোরের চিফ এক্সিকিউটিভ কাইলি লেগ বলেন যে রিপোর্টটিতে মানুষ তাদের আশেপাশে কী দেখছে করে তা তুলে ধরেছে।

প্রতিবেদনটির জরিপে সারা দেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বসবাসের অভিজ্ঞতা কি তা বোঝার চেষ্টা করেছে। এতে অংশ নেয় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পটভূমির ২৫,০০০-এরও বেশি অস্ট্রেলিয়ান।

জরিপের ফলাফল থেকে বাসযোগ্যতার উপর দেশের বৃহত্তম সামাজিক গবেষণা ডাটাবেস তৈরি হয়েছে এবং এতে বিভিন্ন স্থান এবং জনসংখ্যার ভিত্তিতে মানুষের সন্তুষ্টি এবং সুস্থতার মূল বিষয়গুলো উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, এলাকা এবং এর জনসংখ্যার উপর নির্ভর করে বসবাসযোগ্যতা কখনও কখনও উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়।

প্রতিবেদনের লেখকরা ইঙ্গিত দেন যে সব এলাকাই সমানভাবে তৈরি হয় না এবং সকল সম্প্রদায় একই সুবিধা ভোগ করে না।

মিজ লেগ বলেন, কিছু সংখ্যালঘু গোষ্ঠী বসবাসযোগ্যতার জন্য সর্বনিম্ন স্কোর দিয়েছে।

ড. লুসি গান মেলবোর্নের আরএমআইটির সেন্টার ফর আরবান রিসার্চ-এর হেলথি লিভেবল সিটিস ল্যাবের একজন সিনিয়র রিসার্চ ফেলো।

তিনি বলেন, এই ফলাফল অস্বাভাবিক নয়, কারণ অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস-এর বিভিন্ন এলাকার আর্থ-সামাজিক সূচক অনুসারে পাওয়া ডেটা থেকে দেখা যায় যে প্রচুর আদিবাসী এবং টরে’ স্ট্রেইট আইল্যান্ডের মানুষ মূলত দরিদ্র এলাকায় বাস করে।

যদিও নন-বাইনারী এবং ফার্স্ট নেশনস লোকেদের জীবনযাত্রার স্কোর সবচেয়ে কম, তবে কম স্কোর দেয়া অন্যান্য গোষ্ঠী হল একক পিতামাতার পরিবার এবং ২৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী মানুষেরা।

আর নারীরা পুরুষের তুলনায় নিম্ন লিভেবিলিটির ম্যাট্রিক্সের মধ্যে আছে।

তিনি বলছেন, সুবিধাবঞ্চিত এলাকাগুলোর জীবনযাপন, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বঞ্চনার সাথে নিম্ন মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক আছে।

মিজ গান মনে করেন যে অস্ট্রেলিয়ার শহরগুলি যখন ভাল অবস্থায় আছে, তখন দেশের অন্যান্য অংশে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় আরও কিছু করা দরকার।

তিনি বলেন, সামাজিকভাবে সংহতি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক স্থান থাকা গুরুত্বপূর্ণ যা সকলের জন্যই পরিবেশগতভাবে টেকসই হবে।

তিনি বলছেন, জনসংখ্যার ঘনত্ব কম এমন শহর বা অঞ্চলে গণপরিবহন এবং লোকজনের যাতায়াতের গন্তব্য কম আছে এবং এটি বৈষম্য তৈরী করতে পারে। এই বৈষম্য হতে কর্মসংস্থান ও শিক্ষার সুযোগের অভাব, আবাসনের ক্রয়ক্ষমতা এবং প্রাপ্যতার অভাবও কমিউনিটিকে প্রান্তিক অবস্থানে ঠেলে দেয়। তাই অস্ট্রেলিয়ার বড় শহরগুলির বাইরের শহরতলির সকলেরই নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আরও কিছু কাজ করতে হবে যাতে বাসযোগ্যতার বৈষম্য দূর হয়।

এসবিএস রেডিও সম্প্রচার-সূচী হালনাগাদ করেছে, এখন থেকে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার, বিকাল ৩টায়, এসবিএস পপদেশীতে আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন, লাইভ।

কিংবা, পুরনো সময়সূচীতেও আপনি আমাদের অনুষ্ঠান শোনা চালিয়ে যেতে পারেন। প্রতি সোম ও শনিবার, সন্ধ্যা ৬টায়, এসবিএস-২ তে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com