চট্টগ্রামে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তার মেয়ে সাকিলা জুমাইদা মাহমুদ ও তার ভাই এরশাদ মাহমুদসহ ৮৩ জনের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৪২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তিনটি মামলার মধ্যে দুটি’তে ড. হাছান মাহমুদকে প্রধান আসামি করা হয়। একটি মামলায় তার মেয়ে সাকিলা জুমাইদা মাহমুদ প্রধান আসামি। অন্যটিতে ড. হাছান মাহমুদের ভাই এরশাদ মাহমুদ ২ নম্বর আসামি।
বুধবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রাঙ্গুনিয়ার স্থানীয় তিন ব্যক্তি পৃথকভাবে এই মামলাগুলো দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার জয়নাল আবেদীন।
রাঙ্গুনিয়ার প্রবাসী মো: হারুন রশীদ ড. হাছান মাহমুদের মেয়ে সাকিলা জুমাইদা মাহমুদসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক জায়গা-জমি রেজিস্ট্রি করিয়ে নেয়ার অভিযোগ করা হয়।
আদালত সংশ্লিষ্ট থানাকে মামলাটি থানা মামলা হিসেবে নেয়ার আদেশ দেন।
রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনার এলাকার বাসিন্দা মো: ওসমানের করা মামলায় ড. হাছান মাহমুদসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১২ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়। এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ করা হয়।
মামলার বিষয়টি রাঙ্গুনিয়া থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।
রাঙ্গুনিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা কামাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির করা মামলায় ড. হাছান মাহমুদকে প্রধান আসামি ও তার ভাই এরশাদ মাহমুদকে দ্বিতীয় আসামি করে ৪২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এই মামলায় কাউকে অজ্ঞাত নামা আসামি করা হয়নি। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার বাদিকে মারধর করে গুরুতর আঘাতের অভিযোগ আনা হয়।
বাদিপক্ষের আইনজীবী ড. মঈন উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘যে সরকার থাকুক না কেন সবাই যেন আইনের আশ্রয় পাওয়ার সমান অধিকার পায়। মামলার বাদি এক সময় এই ঘটনার বিচারের জন্য মামলা করতে পারেননি।’
সূত্র : ইউএনবি