হাঙ্গেরিতে প্রতি বছর ৩২ হাজার করে জনসংখ্যা কমায় চিন্তিত দেশটির সরকার। অন্য যেকোনো ইউরোপীয় দেশের তুলনায় হাঙ্গেরিতে নারীদের সন্তান জন্ম দেওয়ার হার কম। আর তাই চার সন্তান বা তার অধিক সন্তান রয়েছে এমন নারীরা করমুক্ত সুবিধা পাবেন বলে জানা গেছে।
সন্তান জন্ম দেওয়ার হার বাড়াতে এমন অভিনব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। তিনি বলেন, ‘অভিবাসনের ওপর হাঙ্গেরির ভবিষ্যৎ যেন নির্ভর না করে, এটা এর একটি উপায়।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল রোববার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। ডানপন্থী সরকার বরাবরই মুসলিম অভিবাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আসছেন।
হাঙ্গেরির সরকার এই প্রথম যে এমন সিদ্ধান্ত নিল, তা নয়; এর আগে তরুণ দম্পতিদের জন্য সুদমুক্ত ৩৬ হাজার ডলার পর্যন্ত ঋণসুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। মূলত, সন্তান নিতে আগ্রহ তৈরি করতে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
ভিক্টর অরবান বলেন, ‘পশ্চিমাদের জন্য ইউরোপের জন্মহার কেন কমছে—এ প্রশ্নের উত্তর হলো অভিবাসন। আমাদের একজন নারী সন্তান নিচ্ছেন না, তবে একজন অভিবাসী চলে আসছে। সব মিলিয়ে জনসংখ্যা ঠিক রয়েছে। তবে হাঙ্গেরির মানুষ ভিন্নভাবে চিন্তা করে। আমরা সংখ্যায় বিশ্বাসী নই, আমাদের হাঙ্গেরীয় শিশু চাই।’
এদিকে ভিক্টর অরবান যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন রাজধানী বুদাপেস্টে সরকারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে জনগণ। অন্যদিকে প্রায় দুই হাজার মানুষ দানিউব নদীর প্রধান সেতু অবরোধ করে।