যেদিকে চোখ যায় কাশবন। শরতের অমল মহিমা ধরা দিয়েছে গোটা দেশেই। অমল ধবল পালে লেগেছে মন্দ মধুর হাওয়া-/দেখি নাই কভু দেখি নাই এমন তরণী বাওয়া…। রবীন্দ্রনাথের এই অমল ধবল পাল
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস সেজেছে কাশফুলের শুভ্রতায়। কাশফুলের মনোরম দৃশ্য শিক্ষার্থীসহ সবার মন কাড়ছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে কাশফুল ফুটে জানান দিচ্ছে এসে গেছে শরৎকাল। বর্ষার
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ঋতু পরিবর্তনের পালাবদলে আসে শরৎ। শরৎ আগমনের অন্যতম প্রতীক কাশফুল আর নীল আকাশের বুকে ভেসে বেড়ানো শুভ্র মেঘের ভেলা। শরৎ আমাদের মাঝে বিভিন্ন উৎসবের আগমনী বার্তা নিয়ে
শরৎকাল মানেই নীল আকাশে সাদা মেঘের আনাঘোনা আর বিভিন্ন স্থানে ফুটে উঠা কাশফুলের শুভ্রতা। শরৎ প্রকৃতিকে কাশফুলের অপার সৌন্দর্য্য দিয়ে সাজিয়ে তুলে। প্রকৃতিতে পালাবর্তনে কাশফুলের সৌন্দর্য্যে মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে
গ্রামের মেঠোপথ প্রখর রোদের তীব্রতা নিয়ে যেন ঝিম ধরে রয়েছে। লোকজনের উপস্থিতি খুবই কম। এ নির্জনতাটুকুর ভেতর দূর থেকে ভেসে আসা একটি বিশেষ শব্দ। মনোসংযোগ শুধুই সেদিকে! কী সেই শব্দ!
প্রকৃতিতে এখন ঋতুরানী শরৎ। ভাদ্র ও আশ্বিন দুই মাস মিলে বাংলা ষড়ঋতুর তৃতীয় ঋতু এই শরৎকাল। প্রকৃতির রূপ-বৈচিত্রের পরিবর্তন ঘটলেও শরৎকাল ধরা দেয় তার আলাদা রূপ-বৈচিত্রে। শরৎ এলেই নদ-নদীর পাড়ে
শরতের হালকা হাওয়া আর ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ির কাশফুলের সাদা গালিচা যেন প্রকৃতির সঙ্গে মিশে একাকার। কনক্রিটের শহর থেকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও মনকে প্রকৃতির কাছে সমর্পণ করার এ এক অনন্য সুযোগ।
বাংলাদেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পরতে পরতে লুকিয়ে আছে নতুন রঙের ছটা। একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্ত্বার যে সব বৈশিষ্ট্য রয়েছে, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তা রয়েছে। ভিন্ন জীবনধারা, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি আর অনন্য শিল্পশৈলীর অফুরান মিশ্রণে
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে শুকিয়ে থাকা পাহাড়ের ঝরনাগুলো বর্ষায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে। পাহাড়ের কোলে মানুষ আনন্দে মেতে উঠছে প্রতিদিন। বনজঙ্গল, লতাগুল্মের সবুজে ঢাকা পাহাড়ের বুক চিরে সাদা জলপ্রপাত নামছে অবিরামভাবে কাপ্তাই হ্রদে।
কাশফুলের দেখা মানেই প্রকৃতি জুড়ে চলে এসেছে শরৎকাল। সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে শুরু করে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়টুকুতে পূর্ণাঙ্গ কাশফুলের সমারোহে সৃষ্টি হয় কাশবনের। স্বভাবতই এই সময়টাই কাশফুল দেখার জন্য শ্রেষ্ঠ সময়।