শুধু অর্থনীতিতেই নয়, পর্যটনেও প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে চীন। দেশটি ইতিমধ্যে ৫৯টি দেশের জন্য ভিসামুক্ত নীতি ঘোষণা করেছে। শুধু তা-ই নয়, ৫৪টি দেশের জন্য ১১৪ ঘণ্টা ভিসামুক্ত নীতি এবং ক্রুজ ট্যুরের জন্য ভিসামুক্ত নীতিও গ্রহণ করেছে।
পর্যটন খাতে চীনের এই আগ্রাসী সম্প্রসারণ ভারতের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। বাজার কৌশল এবং ভিসামুক্ত ভ্রমণ নীতির সংমিশ্রণে চীন এশিয়ার পর্যটন ল্যান্ডস্কেপকে নতুন আকার দিচ্ছে। দেশটির এ কৌশলের কাছে শুধু ভারত নয়, বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মার খাবে আরেক প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড।
চীনের ক্রমবর্ধমান পর্যটন প্রভাবের কারণে বেশ চাপে আছে ভারত। পর্যটন সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে ৫ আগস্ট ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিকদের জন্য ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধা চালু করার ঘোষণা দেন। এ নীতির আওতায় দেশগুলোর পর্যটকেরা ভারতে ভ্রমণ, ব্যবসা, সম্মেলন এবং চিকিৎসার জন্য ডাবল এন্ট্রির সুবিধাসহ ৬০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন।
অন্যদিকে থাইল্যান্ডও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য নতুন ভিসা প্রোভিসামুক্ত স্কিম চালু করেছে। এ ছাড়া ডিজিটাল যাযাবর, শিক্ষার্থী এবং ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা এবং গন্তব্য থাইল্যান্ড ভিসা প্রবর্তন করেছে।