নারী-পুরুষ বিয়ের মাধ্যমে একে অপরকে চিরকালের জন্য গ্রহণ করে থাকে। ভরসা ও বিশ্বাস দাম্পত্য সম্পর্কের ভিত্তি। কিন্তু অনেক সময় নানা কারণে ভেঙে যায় দাম্পত্য সম্পর্ক, সেক্ষেত্রে আবার নিয়ম মেনে হতে হয় আলাদা।
তবে সংসার চলাকালে বনাবনি না হওয়ায় অনেকেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে তোলে, যা পরকীয়া নামে পরিচিত। ডিভোর্স মেনে নেওয়া গেলেও, পরকীয়া মেনে নেওয়া যায় না। নিজের স্ত্রীকে কেউ অন্য পুরুষ কিংবা নিজের স্বামীকে কেউ অন্য স্ত্রীর সঙ্গে দেখতে চায় না। পরকীয়ার কারণে সংসার ভাঙা তো বটেই, হত্যা ও নানা ধরনের অপরাধের কোথাও শোনা যায়।
তবে বিশ্বে এমন কিছু উপজাতি রয়েছে যারা পরকীয়া ঠেকাতে বউ বদল করে থাকে। হিমালয়ে বসবাসকারী এমন একটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা দ্রোকপা নামে পরিচিত। হিমালয়ের আর্য হিসেবেও অনেকেই চেনে তাদের। এই উপজাতি বিশেষ কোনো নিয়ম অনুসরণ করে না তারা অনেকটা নিজেদের ইচ্ছেমতো জীবনযাপন করে থাকে। এরা একে অপরের প্রতি অনেক বন্ধুসুলভ এবং স্নেহশীল। বউ অদল-বদল করার রীতি তাদের কাছে খুবই সাধারণ।
একই ধরনের প্রবণতা দেখা যায় নামিবিয়ান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিম্বা উপজাতির মাঝেও। এরা অবশ্য পুরোপুরি বউ বদল করে না। একজন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে অতিথির সঙ্গে রাত কাটানোর সুযোগ দিয়ে থাকে। চাইলে এর বিরোধীতা করতে পারে স্ত্রী। তবে স্বামীর কথা শুনেই স্ত্রীরা অতিথির সঙ্গে রাত্রিযাপন করে থাকে। এই রীতি তাদের মধ্যে ওকুজেপিসা ওমুকাজেন্দু নামে পরিচিত।
উত্তরে আমেরিকা ও সাইবেরিয়ার বরফে বসবাসকারী এস্কিমো উপজাতিরাও এই ধরনের বউ বদল করে থাকে। নারী কিংবা পুরুষ যে কেউ তাদের ইচ্ছেমতো বিপরীতে লিঙ্গের সঙ্গে যৌনমিলন করতে পারে। এস্কিমো উপজাতির একজনের স্ত্রীর সঙ্গে রাত কাটাতে পারে তার বন্ধু কিংবা সহোদররা। কারো স্বামী কাজের জন্য দূরে গেলে যে কারো সঙ্গে মিলন করতে পারে তার স্ত্রী। কোনো স্ত্রী চাইলে অন্যের সন্তান নিজের গর্ভে ধারণ করতে পারে।
এসব উপজাতির এমন রীতির প্রচলনের পেছনের কারণ; তারা মনে করেন এতে করে পরস্পরের মাঝে সম্পর্ক ভালো থাকবে। সবাই মিলে মিশে থাকলে সমাজে বা গোত্রে কোনো অন্যায় অত্যাচার বা হিংসা থাকবে না।