এক সময় টাইটানিক ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাহাজ। তবে সে সময় পাল্টেছে। তৈরি হয়েছে টাইটানিকের চেয়েও অনেক বড় বড় জাহাজ। বর্তমানে নির্মানাধীন ক্রুজ শিপ ‘দ্য আইকন অব দ্য সিজ’ আকারে টাইটানিকেরও ৫ গুণ বড়। রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ক্রুজেসের মালিকানাধীন এ জাহাজ তৈরিতে খরচ হচ্ছে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার! ফিনল্যান্ডের মায়ার টার্কু শিপইয়ার্ডে নির্মাণের শেষ ধাপে আছে অত্যাধুনিক এ ক্রুজ শিপ। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমসের।
বিলাসবহুল প্রমোদতরী, ‘দ্য আইকন অব দ্য সিজ’কে চলন্ত অবস্থায় দেখলে মনে হবে সাগরের বুকে যেন একটি ভাসমান শহর। আয়তনে ৪টি ফুটবল মাঠের সমান এ জাহাজ, এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রুজ শিপ। শিপটি লম্বায় ১১৯৮ ফুট, ওজন ২ লক্ষ ৫০ হাজার টন। ২০ তলা এ জাহাজটিতে রয়েছে নানা ক্যাটাগরির ২৮০৫টি কেবিন। যেখানে থাকতে পারবেন ৭ হাজার ৬০০ অতিথি। পরিচালনায় থাকবেন ২ হাজারের বেশি সুদক্ষ নাবিক। ১৫টি রেস্তোরাঁ, ৭টি সুইমিংপুল, পার্ক, আকর্ষণীয় ওয়াটার স্লাইড, ফিটনেস সেন্টার, ক্যাসিনোসহ বিনোদনের অভিনব সব আয়োজন তো আছেই।
মেয়ার তুর্কু শিপইয়ার্ডের সিইও টিম মেয়ার বলেন, জাহাজটির পেছনে আমরা অনেক অর্থ, সময় ও প্রকৌশল দক্ষতা ব্যয় করেছি। এই প্রমোদতরীতে পর্যটকদের প্রয়োজনীয় সবকিছুই আছে। বিভিন্ন ধরনের ওয়াটার স্পোর্টসের ব্যবস্থা, স’না, নিজস্ব রান্নাঘর, সাজানো কেবিন রয়েছে। বিশ্বের প্রথম এলএনজি চালিত শিপটিতে ব্যবহার হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি।
জানা গেছে, এ জাহাজে সাত রাতের ক্যারিবিয়ান ট্রিপের জন্য জনপ্রতি টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য শুরু হবে ৭৩১ ডলার। ক্রিসমাসের সময় জাহাজের ফ্যামিলি টাউন হাউস সুইটে থাকলে গুনতে হবে ৮৫ হাজার ডলার।
প্রসঙ্গত, আইকন অব দ্যা সিজ এর নির্মাণ শুরু হয় ২০২১ সালে। এরইমধ্যে শেষ হয়েছে এলএনজি প্রপালশান সিস্টেম ও পরীক্ষামূলক যাত্রার কার্যক্রম। ২০২৪ সালে মায়ামি থেকে আনুষ্ঠানিক ভ্রমণ শুরু করবে বিলাসবহুল এ প্রমোদতরী।