ভারত থেকে ধনী দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য ভারতীয়দের মধ্যে একেবারে হুড়োহুড়ি অবস্থা থাকে। তা সে আমেরিকাই হোক কিংবা কানাডা। সেখানে পাকাপাকিভাবে থাকার জন্য, মূলত সেখানকার নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য ভারতীয়দের অনেকেই একেবারে মরিয়া হয়ে ওঠে। প্যারিস ইন্টারন্যাশানাল মাইগ্রেশন আউটলুক ২০২৩-এ প্রকাশিত ওইসিডি রিপোর্টে এই-সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর বিষয়কে উল্লেখ করা হয়েছে।
ধনী দেশগুলোর নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য যেসব দেশের নাগরিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ থাকে ও নাগরিকত্ব পেয়েছেন তার মধ্যে ভারত একেবারে ১ নম্বরে। আর ২০২১-২০২২ সালের মধ্যে একলাফে এটা প্রায় ১৭৪ শতাংশ বেড়েছে।
গতবছরেও দেখা গিয়েছিল এই ওইসিডি দেশগুলোর নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য প্রবল আগ্রহ। প্রায় ২৮ লাখ মানুষ এই নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন। ২০২১ সালের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি।
মোটামুটি ৩৮টি দেশ রয়েছে এই ওইসিডির মধ্যে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সাল পর্যন্ত যেসব দেশের লোকজন ওইসিডি দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন তার মধ্যে ভারত একেবারে শীর্ষে।
২০১৯ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ১,৫৫,৭৯৯ জন। ২০২১ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ১,৩২,৭৯৫ জন। এদিকে এই ওইসিডি দেশগুলোতে নাগরিকত্ব নেয়ার দৌড়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে চীন। ২০২১ সালে ৫৭,০০০ চীনা নাগরিক ওইসিডিভুক্ত দেশগুলোতে নাগরিকত্ব নিয়েছেন। তবে ভারতবাসীদের মধ্যে আমেরিকার নাগরিকত্ব নেয়ার জন্য উৎসাহ সবচেয়ে বেশি থাকে।
তবে চীন থেকে সবচেয়ে বেশি ছাত্রছাত্রী ওইসিডিভুক্ত দেশগুলোতে গেছে। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ( ওইসিডি) এই ছাতার তলায় যে ৩৮টি দেশ রয়েছে তার মধ্য়ে বেশিরভাগই ধনী দেশ। ২০২১ সালেই ভারত থেকে প্রায় চার লাখ ধনী দেশগুলোতে গেছে। তবে এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের হিসাবটা নেই।
ভারত থেকে কেন ধনী দেশগুলোতে যাওয়ার এত প্রবণতা থাকে তার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। তবে যে সংখ্যাটা দেখা গেছে তা যথেষ্ট চমকপ্রদ। ভারত থেকে আমেরিকায় গিয়ে থাকার জন্য একেবারে প্রবল আগ্রহ।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস