দুবাই (Dubai) শহর ইতিমধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক শহরগুলির মধ্যে অন্যতম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আর এবার তারা আরও এক ধাপ এগিয়ে আকাশযান পরিষেবা চালু করতে চলেছে। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি প্রথম আকাশযান বা এয়ার ট্যাক্সি (aerial taxi) ভের্টিপোর্ট নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে দুবাই সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই প্রকল্পটি ২০২৬ সালের মধ্যে চালু করা হবে। আকাশপথে ট্যাক্সি ভ্রমণের ধারণাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করে এই ভের্টিপোর্টটি শহরের আকাশযান পরিবহন ব্যবস্থার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স এবং এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম এই ভের্টিপোর্ট প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে দুবাই বিশ্বের প্রথম শহর হিসাবে আকাশযান পরিষেবা প্রদান করতে সক্ষম হবে।
আকাশযান পরিষেবা: ভবিষ্যতের গণপরিবহন
দুবাইয়ের এই নতুন আকাশযান পরিষেবা শহরের পরিবহন ব্যবস্থাকে একটি নতুন স্তরে নিয়ে যাবে। অনুমোদিত প্রকল্প অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে দুবাইয়ের বাসিন্দা এবং পর্যটকদের জন্য আকাশযান পরিষেবা উপলব্ধ হবে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাত্রীদের আকাশপথে পরিবহন করতে সক্ষম হবে এই এয়ার ট্যাক্সি ব্যবস্থা।
প্রথম ভের্টিপোর্টের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটে। এটিকে এমনভাবে নির্মাণ করা হবে যাতে এটি নির্দিষ্ট স্থানে উড়তে এবং অবতরণ করতে পারে। এই ব্যবস্থার ফলে যাত্রীদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য, দ্রুত এবং পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। দুবাইয়ের এই প্রকল্পটি আসন্ন প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের জন্য একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ক্রাউন প্রিন্সের প্রতিশ্রুতি এবং ভবিষ্যতের লক্ষ্য
শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম বলেছেন যে দুবাই সবসময় আধুনিক প্রযুক্তি এবং ভবিষ্যতের পরিষেবাগুলির ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে চায়। এই আকাশযান পরিষেবা শুরু করার মাধ্যমে দুবাই বিশ্বকে দেখিয়ে দেবে কিভাবে ভবিষ্যতের পরিবহন ব্যবস্থা কাজ করতে পারে। তিনি আরও যোগ করেন যে এই প্রকল্পটি আরও স্মার্ট এবং টেকসই নগর গড়ে তোলার লক্ষ্য পূরণের একটি বড় পদক্ষেপ।
পরিবেশের উপর প্রভাব এবং সুবিধা
এয়ার ট্যাক্সি পরিষেবাটি উন্নত প্রযুক্তি এবং পরিবেশ বান্ধব বৈদ্যুতিক মোটরের মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যা কার্বন নিঃসরণ কমাতে সহায়ক হবে। দুবাইয়ের মতো শহরগুলিতে যেখানে ট্রাফিকের চাপ ক্রমশ বাড়ছে, এই পরিষেবা শহরের পরিবহন ব্যবস্থার উপর চাপ কমাতে এবং দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর সুযোগ করে দেবে।
দুবাইয়ের প্রথম আকাশযান ভের্টিপোর্ট অনুমোদনের মাধ্যমে এই শহর পরিবহন ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের পথে পা বাড়িয়েছে। ২০২৬ সালে এই পরিষেবা চালু হলে এটি বিশ্বের বাকি শহরগুলির জন্য উদাহরণ স্থাপন করবে এবং নাগরিকদের জন্য একটি দ্রুত ও আরামদায়ক ভ্রমণ ব্যবস্থা প্রদান করবে।