সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ অপরাহ্ন

জিসিসি অঞ্চলে একক পর্যটন ভিসার পরিকল্পনা

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৩

গাল্‌ফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সদস্য দেশগুলোয় ভ্রমণ বাড়ানোর জন্য একক পর্যটক ভিসা পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অঞ্চলটিতে আন্তঃভ্রমণ সহজ এবং উপসাগরীয় দেশগুলোয় পর্যটন খাতের সম্প্রসারণে এ পদক্ষেপ নেয়ার কথা  জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন তৌক। তিনি দুই বছরের মধ্যে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন।

সম্প্রতি ওমানে অনুষ্ঠিত জিসিসি পর্যটনমন্ত্রীদের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে একক পর্যটক ভিসা সিস্টেমটি চালু করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আসন্ন জিসিসি শীর্ষ সম্মেলনে ভিসা পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করা হবে। আবদুল্লাহ বিন তৌক জানান, জিসিসিভুক্ত প্রতিটি দেশের জন্য প্রস্তুতি অনুসারে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে একক পর্যটক ভিসা সিস্টেমের জন্য সুনির্দিষ্ট আইন ও নীতি প্রণয়ন করা হবে।\

সংযুক্ত আরব আমিরাত একক সমন্বিত ভিসা প্রবর্তনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমিরেটস ট্যুরিজম কাউন্সিল একটি পর্যটন রুট ডিজাইন করেছে, যা সাতটি আমিরাতকে সংযুক্ত করবে। মধ্যপ্রাচ্যের পর্যটন খাত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে মহামারী-পরবর্তী অবস্থায় ফিরে এসেছে। আগস্টের আর্থিক প্রতিষ্ঠান এইচএসবিসি প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে দুটি প্রধান আরব অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্যটক আগমনের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কভিড-১৯-পূর্ববর্তী পর্যায়ে ফিরতে সক্ষম হয়েছে।

একক পর্যটন ভিসা উদ্যোগটি জিসিসি ২০৩০ পর্যটন কৌশলের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কৌশলের যার লক্ষ্য ছিল জিসিসি অঞ্চলের মধ্যকার দেশগুলোর পর্যটন সম্প্রসারণ করা। অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান বাড়ানো। কৌশলটির মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে জিসিসি দেশগুলোয় ১২ কোটি ৮৭ লাখ দর্শনার্থী আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আবদুল্লাহ বিন তৌক আরো জানান, জিসিসি দেশগুলোয় উন্নত ভ্রমণ ও পর্যটন অবকাঠামো রয়েছে। গত বছরের শেষ দিকে এ অঞ্চলের হোটেল সংখ্যা ১০ হাজার ৬৪৯-এ পৌঁছেছে। কয়েক দশকে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ঘটেছে হোটেল সংখ্যা। কেবল সংযুক্ত আরব আমিরাতেই সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৪।

একটি সমন্বিত উপসাগরীয় পর্যটন ভিসার দিকে উদ্যোগটি ভ্রমণকে সহজতর করার সম্ভাবনা রাখে। উপসাগরীয় দেশগুলোকে পর্যটকদের জন্য আরো আকর্ষণীয় একটি গন্তব্যে পরিণত করেছে। পাশাপাশি বিশ্লেষকরা আশা করছেন সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতাও বাড়বে। মহামারী-পরবর্তী সময়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর অঞ্চলটি জ্বালানি তেলবহির্ভূত খাতে শক্তিশালী পুনরুদ্ধার ঘটেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত আগামী বছর জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক সম্মেলনের আয়োজক হবে। দেশগুলোর জন্য সক্ষমতা প্রমাণের আরো এক দফা সুযোগ তৈরি হবে বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com