দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ মালয়েশিয়া উচ্চ আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চলেছে। প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং একটি শক্তিশালী মুদ্রানীতির মাধ্যমে ২০২৮ সালের প্রথম দিকে উচ্চ আয়ের রাষ্ট্রের মর্যাদায় পৌঁছাতে পারবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংকের শীর্ষ অর্থনীতিবিদ অপূর্ব সাংহি।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিশ্বব্যাংকের মালয়েশিয়ার প্রধান অর্থনীতিবিদ অপূর্ব সাংহি বলেন, মালয়েশিয়া উচ্চ আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চলেছে। কারণ ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক বৈশ্বিক এই ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ২০২৪ সালে দেশটির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ করেছে। এশিয়ার মুসলমান প্রধান দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়েও ভালো হওয়া এবং মুদ্রার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় এমনটা সম্ভব হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, উচ্চ প্রবৃদ্ধি জীবন মান উন্নত করছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শক্তিশালী রিঙ্গিত (মালয়েশিয়ান মুদ্রা)। এই দুই জিনিসের ওপর ভর করে মালয়েশিয়া উচ্চ আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনের সীমার মধ্যে পৌঁছে গেছে।
তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ার অর্থনীতি এখন কোভিড-১৯ মহামারির আগের চেয়ে ১২ শতাংশ বেড়েছে যা সিঙ্গাপুর ছাড়া অন্য সব দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর চেয়ে এগিয়ে। এটি বোঝায় যে ধারাবাহিক সংস্কার বজায় থাকলে মালয়েশিয়া ২০২৮ সালের মধ্যেই উচ্চ আয়ের দেশের মর্যাদা পেতে পারে।
অপূর্ব সাংহি বলেন, এক কথায় বর্তমানে দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে এটি আরও ভালো অবস্থানে যেতে পারে যদি আমরা কম চাকরি পাওয়ার সমস্যা সমাধান করতে পারি। কেননা এই কারণে লাখ লাখ তরুণ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী মালয়েশিয়ানের মনোবল ও আকাঙ্ক্ষার ওপর প্রভাব পড়ছে।
২০২৩ সালে মালয়েশিয়ার অর্থনীতি ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তার আগের বছর দেশটির অর্থনীতি ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছিল। যেসব দেশের মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় (জিএনআই) ১৪ হাজার ৫ বা তার বেশি মার্কিন ডলার সেসব দেশকে উচ্চ আয়ের দেশ হিসেবে বিবেচনা করে বিশ্ব ব্যাংক।