অন্তর্বতীকালীন সরকার গত ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণের পর ১৫ আগস্ট চুক্তিভিত্তিক ছয় রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অবসরোত্তর ছুটিতে যাবেন, এমন কূটনীতিকদের অবিলম্বে ঢাকায় ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়। এসব সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, যুক্তরাজ্যসহ ২১টি মিশনে রাষ্ট্রদূত পদে নতুন করে নিয়োগ দিচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যে একাধিক মিশনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়া শূন্য পদে নিয়োগ ও রদবদল মিলিয়ে মাসখানেকের মধ্যে আরও ১০টি মিশনে রাষ্ট্রদূত পদে পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এত কম সময়ে এত বেশি মিশনে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ বা রদবদলের ঘটনা এটাই প্রথম।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরবসহ ৮টি দেশে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূতের নামের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট দেশের সম্মতির জন্য সেই দেশগুলোয় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গত মাসে বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুরসহ ১২টি দেশে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। নতুন ওই ১২ রাষ্ট্রদূতের মধ্যে ১০ জনের নাম সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সম্মতির জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে পর্তুগালে সাবেক সচিব মাহফুজুর রহমানের নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে।
এদিকে অন্তর্বতী সরকার এখন পর্যন্ত ২১ রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ চূড়ান্ত করলেও বাংলাদেশের কূটনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিল্লির হাইকমিশনে কাকে পাঠানো হবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। ভারতের পাশাপাশি রাশিয়াসহ আরও ছয়টি মিশনের রাষ্ট্রদূত পদগুলো এই মুহূর্তে খালি রয়েছে।
নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৮ জনই পেশাদার কূটনীতিক, ১ জন নৌবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, সাবেক সচিব ১ জন ও সাংবাদিক ১ জন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, এরই মধ্যে বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে রাষ্ট্রদূতের শূন্য পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনেকগুলো দেশে নামের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সামনে আরও বেশ কয়েকটি দেশে নতুন রাষ্ট্রদূতের নামের প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে।