শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন

আমিরাতের সম্পদ ‘২৭ সালের মধ্যে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বহুমাত্রিকতা আসার পাশাপাশি শক্তিশালী হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতি। জ্বালানি তেলের বাইরেও পর্যটন, ডিজিটাল অর্থনীতি ও শিল্পোৎপাদন কার্যক্রম পরিব্যাপ্ত হচ্ছে দেশটিতে। তবে এ অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছে ব্যক্তিগত সম্পদ। 

২০২২-২৭ সালের মধ্যে দেশটির সম্পদ ১ ট্রিলিয়ন থেকে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে। বোস্টন কনসালটিং গ্রুপ (বিসিজি) প্রকাশিত বৈশ্বিক সম্পদ প্রতিবেদনে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইকুইটি ও বিনিয়োগ তহবিল শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। ২০২২ সালে দেশটির মোট ব্যক্তিগত সম্পদের ৫৮ শতাংশ ছিল ইকুইটি ও বিনিয়োগ তহবিল। পাশাপাশি দ্রুতগতিতে বাড়বে বন্ড। ২০২৭ সালের মধ্যে জীবন বীমা ও পেনশন দাঁড়াবে তৃতীয় বৃহৎ সম্পদ কাঠামো হিসেবে। বিসিজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহম্মদ খান বলেছেন, ‘‌এ প্রবৃদ্ধির মাধ্যমেই প্রমাণ হয় দেশ এগিয়ে যাওয়ার পেছনে ব্যক্তিগত সম্পদ ভূমিকা রাখছে।’

প্রতিবেদনে আরব আমিরাতের সম্পদশালীদের কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১০ কোটি ডলারের বেশি সম্পদ রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের রাখা হয়েছে আলট্রা-হাই নিট ওয়ার্থ (ইউএইচএনডব্লিউ) ব্যক্তির তালিকায়। ২০২২ সালে দেশটির মোট সম্পদে তাদের হিস্যা ছিল ২৫ শতাংশ। ২০২৭ সালের মধ্যে সংখ্যাটি আরো বাড়বে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

যেসব ব্যক্তির সম্পদের পরিমাণ ১০ লাখ থেকে ২ কোটি ডলার, ২০২২ সালে আরব আমিরাতের মোট সম্পদে তাদের হিস্যা ছিল ৩২ শতাংশ। ২০২৭ সালে তাদের হিস্যা ৩৪ শতাংশে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। বিসিজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুকাস রে জানান, তারা কেবল আবিষ্কার ও বিনিয়োগকেই ত্বরান্বিত করছেন না, তারা টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন, যা ভূমিকা রেখেছে আরব আমিরাতের অর্থনৈতিক সফলতার পেছনে।’

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবাসন খাত ২০১৭-২২ সালে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ সম্প্রসারণ হয়েছে, পৌঁছেছে ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলারে। ২০২৭ সালের মধ্যে এ সম্পদ ৬ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়নে দাঁড়াবে।

বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের হাত ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ ঘটেছে। প্রতিবেদনে সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও টেকসই আয় নিয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি সামনে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার, ফিক্সড-ইনকাম পণ্যের দিকে মনোযোগ দেয়া। খরচ বিবেচনায় নিতে হলে পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ সহজীকরণকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। মুহম্মদ খান বলেছেন, ‘‌সম্পদ ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদি আয়ের জন্য প্রাইভেট মার্কেট অফারিংস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। এ পরামর্শ অর্থনীতিকে সহায়তা করতে পারে আয়ে নিশ্চয়তা আনার মাধ্যমে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com