গ্রিনল্যান্ড গত কয়েক মাসে বিশ্বরাজনীতিতে বেশ আলোচিত একটি দেশ। এ বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করতে আগ্রহ দেখান। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য গ্রিনল্যান্ড জয় করতে চান।
গ্রিনল্যান্ড বলতে গেলে পুরোটাই বরফের চাদরে গঠিত। ডেনমার্কের মালিকানাধীন এই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের বেশির ভাগ অংশ বরফে তৈরি। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গ্রিনল্যান্ডের অনেক অংশ হারিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের প্রায় তিন গুণ আকারের চেয়ে বড় ৬ লাখ ৫৬ হাজার মাইল এলাকার বরফের চাদর নিয়ে গ্রিনল্যান্ড গঠিত।
প্রায় ৬ লাখ ৯৬ হাজার ঘন মাইল বরফ ধারণ করছে গ্রিনল্যান্ড। অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলের বরফের চাদরের মতো গ্রিনল্যান্ড সূর্যের তীব্র আলো প্রতিফলিত করে আমাদের গ্রহকে শীতল করছে। বড় একটি মিঠাপানির উৎস হিসেবে কাজ করছে গ্রিনল্যান্ড।
সমুদ্রে যত বেশি মিঠাপানি ফেলা হবে তত সমুদ্রের ঘনত্ব, তাপমাত্রা ও লবণাক্ততার সূক্ষ্ম ভারসাম্যে পরিবর্তন আসবে। গ্রিনল্যান্ড বিরল খনিজের উৎস হতে পারে বলে ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ডের অধিকার চান। গ্রিনল্যান্ডের বিভিন্ন খনিজের সঙ্গে দস্তা, সিসা ও সোনা রয়েছে। এই খনিজের জন্য গ্রিনল্যান্ড নিয়ে সবার আগ্রহ।