চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সহযোগী তিন দেশ—নরওয়ে, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডে আট লাখেরও বেশি আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছে। ২০১৬ সালের পর, এই সময়ের হিসাবে এটি সর্বোচ্চ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশ্রয় বিষয়ক সংস্থা ইইউএর বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে জার্মান সংবাদমাধ্যম ভেল্ট।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৯টি দেশে চলতি বছরের শুরু থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত মোট আট লাখ এক হাজার ৪৫৯টি আবেদন পড়েছে।
গত জুন পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ ১৯ হাজার।
আবেদনের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি লাটভিয়ায়। আবেদনের পরিমাণ ১৬৮ শতাংশ বা আড়াই গুণের বেশি বেড়েছে বাল্টিক এই দেশটিতে। এস্তোনিয়ায় বেড়েছে ১১৯ শতাংশ।
আবেদনের সংখ্যা বৃদ্ধিতে তৃতীয় অবস্থানে আছে জার্মানি। অক্টোবর পর্যন্ত দেশটিতে আশ্রয় আবেদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৪ শতাংশ বেড়েছে।
তবে সব দেশেই যে আবেদন বেড়েছে তা নয়। কিছু কিছু দেশে উল্টো কমার নজিরও আছে।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে ডেনমার্ক। দেশটিতে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৬ শতাংশ আশ্রয় আবেদন কমেছে। ভূমধ্যসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মাল্টায় ৫৪ শতাংশ, সাইপ্রাসে ৫২ শতাংশ ও অস্ট্রিয়ায় আবেদন কমেছে ৪১ শতাংশ।
সংখ্যার হিসাবে সবচেয়ে কম আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছে হাঙ্গেরিতে। অভিবাসনবিরোধী সরকারের অধীনে থাকা দেশটিতে মাত্র ২৬টি আবেদন জমা পড়েছে বছরের প্রথম ৯ মাসে।
২০১৫ সাালের সারা বছরের হিসাবে এই দেশগুলোতে মোট ১৩ লাখ ৫০ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। আর ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৫০ হাজার। ওই সময় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে সিরিয়া থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা বেড়েছিল। ২০১৭ সালে তুরস্কের সঙ্গে শরণার্থী বিষয়ে ইইউ চুক্তির পর আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা কমে এসেছিল। সেই সঙ্গে করোনা মহামারির সময়ে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা অনেক কম ছিল। এরপর ২০২২ সাল থেকে আবার বাড়তে থাকে এই সংখ্যা।
সূত্র : ইনফো মাইগ্রেন্টস