শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ অপরাহ্ন

হিলসাইড রিসোর্ট

  • আপডেট সময় বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩

বান্দরবান পার্বত্য জেলা বাংলাদেশের এক অপরূপ ভ‚খন্ড। বান্দরবান একটি নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি। এখানে বাস করে বিভিন্ন ভাষাভাষির বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ গোষ্টীর মানুষ। রয়েছে তাদের নানামুখি সাংস্কৃতিক জীবন। এই জনপদের জীবনধারায় যেমন রয়েছে বৈচিত্র ও সৌন্দর্য, তেমনি এখানে রয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদের বিপুল সমাবেশ। প্রাকৃতিক সম্পদের বৈচিত্রময় উপস্থিতিই এখানকার সংস্কৃতি ও জীবনধারাকে বৈচিত্রময় করেছে।

বান্দরবানের নৈসর্গিক প্রকৃতি উপভোগ করতে হলে আপনাকে অন্তত দুইটি রাত এখানে কাটাতে হবে। আর তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা আছে হিলসাইডে রিসোর্টে। পর্যটকরা গ্রামীন পরিবেশে থাকা এবং মান সম্পন্ন খাবার পাবেন এখানে। গ্রামের মধ্যে ঘুরে বেড়ানো, সাংগু নদীতে নৌকা ভ্রমন, পাখি দেখা বা স্থানীয় জনগোষ্টির সাথে সম্পৃক্ত হতে পারেন পর্যটকরা।

রিসোর্টটি বান্দরবান শহর থেকে মাত্র ৪ কি.মি. দূরত্বে চিম্বুক রোডে অবস্থিত। এখানে থাকা এবং খাওয়ার সুব্যবস্থা আছে। দেশি বিদেশী পর্যটকরা তাই এখানে সারা বছরই ভিড় জমায়।রিসোর্ট থেকে জিপ ও লোকাল গাইডের ব্যবস্থা করা হয়। লোকাল গাইডদের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং সেবায় আপনি মুগ্ধ হবেন।৫০ জনের থাকার ব্যবস্থা আছে কটেজ, ট্রাইবাল হাউজ এবং ডরমিটরিতে। সব কটেজ বা হাউজে এটাচ বাথরুম এবং গরম পানির ব্যবস্থা আছে।

রিসোর্টে ঢুকলেই চোখে পড়বে রেস্তোরা রিগরি থায়াং । রেষ্টুরেন্টে বসে খেতে খেতে আশেপাশের পরিবেশেটাও উপভোগ করতে পারবেন। পাহাড় পর্বতেরপাশ দিয়েই বয়ে চলছে নদী। ১০০ জনের রেষ্টুরেন্টে সব সময়ই লেগে থাকে ডিনার পার্টি, সেমিনার এবং ট্রেনিং বা ওয়ার্কশপ।

চট্টগ্রাম থেকে গাড়িতে মাত্র আড়াই ঘণ্টার পথ। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বাই এয়ার গিয়ে বাই রোডে বান্দরবন যেতে পারেন। ট্রেনে গেলে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় লাগবে। রাতের ট্রেনেই যাওয়া ভাল। সকালে চট্টগ্রাম পৌছে বাই রোডে বান্দরান যেতে পারেন। এছাড়া ঢাকা থেকে বান্দরবান ডাইরেক্ট বাস সার্ভিস আছে। সন্ধায় উঠলে সকাল নাগাদ পৌঁছে যাবেন বান্দরবান।চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট, রেলষ্টেশন বা বাসস্টান্ড থেকে রিসোর্টে যাওয়ার জন্য ট্রান্সফার বাস আছে। তার জন্য আগে থেকে বুকিং দিতে হবে।

গ্রীষ্মকালে জার্নিতে হালকা জামাকাপড়, রেইনকোট নিতে হবে। মনে রাখবেন, চট্টগ্রাম হিল ট্রাক মেলেরিয়াপ্রবন এলাকা। তাই সাবধানে থাকবেন। শীতকালে জুতা মোজা অবশ্যই পরিধান করবেন। নৌকায় করে সাংগু নদীতে ঘুরতে পারেন। হাতিবান্দা ঘুরে আসতে পারেন। হাতিবান্দা একটি সুন্দর ত্রিপুরা গ্রাম। রিসোর্ট থেকে খুব কাছে হাতিবান্দা। গাড়িতে যেতে ১ ঘণ্টা সময় লাগে। গ্রামটি দেখতে খুবই অপূর্ব লাগবে।

শৌলপ্রপাত ঝরণা এবং বাওম গ্রাম মাত্র ৭ কিঃমিঃ রিসোর্ট থেকে। পায়ে হেটে গ্রামটি দেখে আসতে পারেন। ১ ঘণ্টা সময় লাগবে। ঝরণার পাণিতে গোসল করতে চাইলে অতিরিক্ত একসেট কাপড়, তাওয়াল সাথে নিয়ে যাবেন।

চিম্বুক হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে উচ্চতম পাহাড়। রিসোর্ট থেকে খুবই কাছাকাছি একবার ঘুরে আসতে পারেন। গাড়িতে গেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে বিমোহিত করবে। স্থানীয় গাইড আপনাকে মোরং উপজাতির লাইফস্টাইল সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারবে এবং স্থানীয় উপজাতির লোকজনদের সাথে কথা বলিয়ে দেবে।

বগা লেক একটি অসাধারণ প্রাকৃতিক লেক। বান্দরবন থেকে মাত্র ৬৫ কিঃমিঃ দূরে। লোকাল গাইড আপনাকে খাবার সহ এক রাত্রী যাপনের যাবতীয় ব্যবস্থা করে দেবে। তবে আপনাকে অবশ্যই ¯িøপিং ব্যাগ সংগে নিতে হবে। সব ধরনের সহযোগিতার জন্য লোকাল গাইডের সহযোগিতা নিতে পারেন।

স্থানীয় উপজাতির কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে সম্মান জানাবেন। কারো অনুমতি ছাড়া স্থানীয়দের ছবি তুলবেন না। কোন প্রকার বন্যপ্রাণীর জীবন ক্ষতিগ্রস্থ করবেন না বা বন্য প্রাণী কেনা বেচায় জড়াবেন না। বন্যপ্রাণী কেনাবেচা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ফুলফল বা লতাপাতা ছেড়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

যোগাযোগঃ হিলসাইড রিসোর্ট
মিলনছড়ি, চিম্বুক রোড,
বান্দরবন, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ ০১৯৯২৭৫৬৯১

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com