সমুদ্রতীরের ছিমছাম শহর পাতায়া ব্যাংকক থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে। মূলত রাতের অাঁধারে জেগে ওঠা যে কয়টি শহর রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম এটি। এশিয়ার অন্যতম হানিমুন স্পট পাতায়া। রাতের গভীরতা যত বাড়ে, আলোর ঝলকানিও সেই সঙ্গে পাল্লা দেয়। তালে তালে চলে সংগীতের মূর্ছনা। পর্যটকের ভিড় ঠেলা দায়। নাইট ক্লাব, রেস্তোরাঁ, সমুদ্রের তীর- সবকিছু একাকার। এক কথায় অন্য এক জগৎ।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে পাতায়া। বাসে দু-তিন ঘণ্টায় পৌঁছে যেতে পারবেন। দেড়শ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে সোয়াশ কিলোমিটার গতিতে ছুটে চলবে বাস। সমুদ্রতীরের এই ছিমছাম শহরটি যেন বিনোদনের স্বর্গরাজ্য। ডিস্কো, পাব, গোগো ক্লাবগুলো সমুদ্রতীরজুড়ে সাজানো। আমাদের কক্সবাজারের মতো বিশাল ঢেউ না থাকলেও বড়ই মোহনীয়। মনে হয় তীর দিয়ে শুধু হেঁটে বেড়াই। সমুদ্রের ভিতরে আছে বিশাল বিশাল নৌযান। সেগুলোর একেকটি যেন ছোট্ট শহর।
পাতায়া থেকে সমুদ্রের ভিতরে তাকালেই দেখা যায় অসংখ্য কোরাল দ্বীপ। সেগুলোও দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানো। সবুজের সমারোহের চারপাশে নীলজল। পাতায়া থেকে লাইট জাহাজযোগে যেতে পারেন তেমনই একটি দ্বীপ ‘কোলহার্ন’-এ। চারদিকে অসীম জলরাশির মধ্য দিয়ে ছুটে চলার রোমান্সই আলাদা। ‘কোলহার্ন’-এ কেউ কারও দিকে ফিরেও তাকান না। কেউবা এরই মধ্যে সেরে নিচ্ছেন সমুদ্রস্নান। সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসা যায় পাতায়ায়।
অন্যদিকে হানিমুনের আরেক স্বর্গরাজ্য ফুকেট। কী নেই এখানে? এক কথায় নবদম্পতিদের উপযোগী করে সবকিছুই তৈরি করা হয়েছে। ফুকেটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ জেমস বন্ড আইল্যান্ড এবং ফিফি আইল্যান্ড। এ দুটি আইল্যান্ডে ঘুরতে গেলে মনে হবে স্বপি্নল কোনো জগতে বিচরণ করছেন আপনি। এ ছাড়া বাঘ-সিংহ থেকে শুরু করে জিরাফ, গণ্ডার, ময়ূর, হরিণ, ভাল্লুকসহ হরেক জীবজন্তু আর পাখপাখালির যেন মেলা বসে সাফারি ওয়ার্ল্ডে। ০০৭-খ্যাত জেমস বন্ড সিরিজের চলচ্চিত্রের জীবন্ত প্রদর্শনী দেখা যাবে এই পার্কে।
সরাসরি আয়োজিত ৪৫ মিনিটের এই শো হলিউড সিনেমার নানা অ্যাকশন দৃশ্যে ভরপুর। বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের ভস্মীভূত হওয়ার দৃশ্য, আগুনে পুড়ে মানুষের কঙ্কাল হয়ে যাওয়া, সাগরের ভিতর দিয়ে দ্রুতগতিতে স্পিডবোটে হিরোইনের চলে আসা- এ রকম অনেক আকর্ষণীয় বিষয় দিয়ে সাজানো হয়েছে সাফারি ওয়ার্ল্ড। তাই তো থাইল্যান্ডকে বলা হয় বিনোদনের স্বর্গরাজ্য।