ভুটানের রাজধানী থিম্পু মধুচন্দ্রিমার জন্য একটি আদর্শ স্থান। অনাবিল নিসর্গ আর সুপ্রাচীন ঐতিহ্যমন্ডিত এই শহর রোমাঞ্চের পীঠস্থান।কপোতকপোতির কাছে থিম্পুর নৈসর্গিক রোমান্স বরাবর আবেদনময়ী।
ভুটানের প্রবেশদ্বার ভুটান গেট। গেট পেরোলেই ভুটানের ফ্রন্টসলিং। তারপর রাজধানী থিম্পু। চারপাশে প্রকৃতির অপার বিস্ময়। ভুটানের শহরগুলির একটি বৈশিষ্ট চোখে পড়ার মতো। অধিকাংশ শহরের নামই নদীর নামে। থিম্পু ড্রুক রাজার দেশ বলেও পরিচিত। জাতীয় প্রতীক ড্রাগন। ভাষা জোভর্থা। এখানে টাকাকে বলা হয় নুলট্রাম বা ন্যু। ভুটানের টাকার মান ভারতীয় টাকার সমান।
নব দম্পতিদের জন্য একটি পারফেক্ট ডেসটিনেশন থিম্পু। ১৫০০ ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের উপর গোয়াবাড়ী টিলা। টিলার উপর চমৎকার একটি বৌদ্ধ মন্দির। ঘুরে দেখতে পারেন স্যুভেনির শপগুলি। স্থানীয় হস্তশিল্পের পসরা ছাড়াও চীন ভারত ও বাংলাদেশের পন্য পাওয়া যায় এখানে।
টিভি টাওয়ার বা টাওয়ার ভিউ পয়েন্ট থেকে থিম্পুর রূপ অতুলনীয়। দেখতে পারেন চিড়িয়াখানা। ঘুরে আসতে পারেন ভুটানের জাতীয় লাইব্রেরী থেকে। এছাড়া যেতে পারেন আর্টস এন্ড ক্রাফ্টস স্কুলে, সার্ক বিল্ডিং, থিম্পু হাইকোর্ট, হ্যান্ডিক্রাফ্টস এম্পেরিয়াম, সিমতোখা জং ইত্যাদি। ঘুরে আসতে পারেন থিম্পুর ফোক হেরিটেজ মিউজিয়াম।
স্থানীয় লোকজনের সাথে মেলামেশার সবচেয়ে ভালো সুযোগ পাবেন উইক এন্ড মর্কেটে। প্রতি শনি ও রবিবার নদীর ধারে বাজার বসে।
যারা হানিমুনের জন্য ভুটান বেরাতে যায় তাদের জন্য ভুটান স্বর্গরাজ্য। ভুটানের পাহাড়ঘেরা প্রকৃতির আবেদন আপনাকে অভিভূত করবে। এখানে বিভিন্ন মানের ও দামের অসংখ্য হোটেল ও মোটেল আছে।
বছরে যে কোন সময়ই ভুটানে যাওয়া যায়। মনে রাখবেন এখানে ধূমপান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কখনোই প্রকাশ্যে ধূমপান করবেন না।
বিভিন্ন ট্যুর অপারেটর সাশ্রয়ী মূল্যে বাই এয়ারে থিম্পু আর ২ রাত ৩ দিনের প্যাকেজ পরিচালনা করছে।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন ০১৯৮৫-৯৫৪৩০৬।