অনেকেই আজকাল দেশের মধ্যে বিভিন্ন রিসোর্ট, সমুদ্রসৈকত, খাগড়াছড়ি অথবা বান্দরবানের পাহাড়, কাপ্তাইলেক বা হাওরের পানিতে ভেসে করছেন হানিমুন। মারমেইড ইকো রিসোর্টে আগে থেকেই বুকিং দেওয়া ছিল। হোটেলে উঠে প্রথমে একটু ফ্রেস হয়ে নিলাম। সৈকতের পাশে বসে
লাঞ্চ করে নিলাম। ভোজপর্ব সেরে খানিকটা বিশ্রাম করে নিলাম। বিকালে পায়ে হেটে লাবনী পয়েন্টের বালুকাবেলা সময় কাটালাম। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ যেন আছড়ে পড়ছে সৈকতে। ভেজা বালুর ওপর দন্ডায়মান পদযুগলে ঢেউ এসে সঙ্গী করে আনা বালু দিয়ে ঢেলে দিচ্ছিল। কখনো রং বেরং এর ঝিনুক। সবুজাভ উর্মিমালাকে রক্তিম আভায় রাঙিয়ে সূর্য যেন সাগরে ডুব দিল। খালি পায়ে সৈকত ধরে হাটতে থাকি দুজনে। সে স্মৃতি আমাদের সারাটা জীবন মনে থাকবে। গোধূলির আলোকছঢ়ায় প্রতিফলিত হচ্ছে সৈকতের বালুতে।
পূর্বসমুদ্রে আলো নিভে যাওয়া দেখতে থাকি। বহুদূরে তারার মতো জ¦লজ¦ল করছে জাহাজের বাতি। দূরে ছোট ছোট নৌকা ঢেউয়ে দুলতে থাকে। সমুদ্র সৈকতে নববধুর হাতে হাত রেখে শুয়ে থাকা অথবা সমুদ্রের পাড়ে কোন রেষ্টুরেন্টে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার উপভোগ করার আনন্দই আলাদা।
মারমেইড ইকো রিসোর্ট করতে পারেন হানিমুন প্রোগ্রাম। দুজনের জন্য ২ রাতের প্যাকেজ মূল্য ৬,০০০ টাকা এবং ৩ রাতের প্যাকেজ মূল্য ৮০০০ টাকা।
ঢাকা থেকে বিভিন্ন এয়ার লাইনও কক্সবাজার হানিমুন প্যাকেজ দিয়ে থাকে।