পাহাড়ে ঘুরতে যারা ভালোবাসেন, এমনকি ট্রেকিং যাদের পছন্দ তারা চাইলে ঘুরে আসতে পারেন ভারতের অন্যতম এক পাহাড়ি এলাকায়। ভারতের কুইন অব হিলস হলো মুসৌরি। যদিও ভারতের কুইন অব হিলস হিমাচলের সিমলা ও দক্ষিণ ভারতের উটিকেও বলা হয়, তবে উত্তরাখণ্ডের রানি মুসৌরি। দিল্লির খুব কাছেই মুসৌরি হিল স্টেশন, যেখানে আপনি মাত্র ৬-৭ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছাতে পারেন।
মুসৌরিতে অনেক আকর্ষণীয় জায়গা আছে, তবে সেখানকার সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান হলো মেঘের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এক স্থান। যা ক্লাউড এন্ড নামেও পরিচিত। ক্লাউডস এন্ড ভিউপয়েন্ট মুসৌরির সুন্দর পাহাড়ে অবস্থিত। ঘন ওক ও দেবদার বন দ্বারা বেষ্টিত এই স্থানে যেতে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের মাধ্যমে ট্রেকিং করে পৌঁছাতে পারেন।
স্থানটি অভয়ারণ্য থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে। এখানকার পাহাড়ি বাতাস, সুন্দর ট্রেকিং পয়েন্ট আপনার মন জয় করবেই করবে। এখানকার নৈসর্গিক দৃশ্য দেখে আপনার মনে হবে যেন স্বর্গ নিজেই পৃথিবীতে নেমে এসেছে। এখান থেকে মেঘ খুব কাছে। মনে হবে আপনি হাত দিয়ে মেঘ ছুঁতে পারবেন। তাই এটি ক্লাউড এন্ড নামে বিখ্যাত।
সেখানে গিয়ে কী কী করবেন?
সুন্দর দৃশ্য ছাড়াও, এখানে আপনি ইংরেজি স্থাপত্যও দেখতে পারেন। ভবনটি ১৮৩৮ সালে ব্রিটিশ অফিসার মেজর সোয়েটেনহাম তৈরি করেছিলেন। এটি মুসৌরির প্রাচীনতম ভবনগুলোর মধ্যে একটি। এখন এটি একটি ঐতিহ্যবাহী হোটেলে রূপান্তরিত হয়েছে, যা ক্লাউডস অ্যান্ড ফরেস্ট রিসোর্ট নামে পরিচিত।
এই বাংলোগুলো এখনও তাদের পুরোনো স্থাপত্য, আসবাবপত্র, চিত্রকর্ম, বই নিয়ে গর্ব করে। এসব ছাড়াও আপনি এখানে পাহাড় আরোহণ, ফটোগ্রাফি ও গ্রাম ভ্রমণ করতে পারেন।
যে লেকের পানি স্পর্শ করলেই পাথর হয়ে যায় সবাই!
আরও যেসব স্থান ঘুরে দেখবেন
১. বেনোগ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
২. জ্বালা দেবী মন্দির
৩. লাল টিলা
৪. বন্দুকের পাহাড়
৫. উটের পেছনের রাস্তা
৬. সোহম হেরিটেজ অ্যান্ড আর্ট সেন্টার
৭. সুখী উপত্যকা
৮. লাইব্রেরি বাজার
৯. লেক মিস্ট
ক্লাউড এন্ড দেখার উপযুক্ত সময় কখন?
আপনি যে কোনো সময় ক্লাউডস এন্ড পরিদর্শন করতে পারেন, কারণ মুসৌরিতে সারা বছরই মনোরম আবহাওয়া থাকে। একটাই পরামর্শ, বর্ষাকালে এখানে যাওয়া উচিত নয়। কারণ সরু পথের কারণে কিছু ঝামেলায় পড়তে পারেন। আর আপনি যদি শীতে যান, তাহলে অবশ্যই শীতের পোশাক ভালোভাবে পরুন।
ক্লাউড এন্ড মুসৌরিতে কীভাবে পৌঁছাবেন?
ক্লাউডস এন্ড মুসৌরি শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। আপনি একটি জিপ বা ট্যাক্সি ভাড়া করে সহজেই এখানে পৌঁছাতে পারেন। নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন হল দেরাদুন রেলওয়ে স্টেশন (৩৭ কিলোমিটার) ও বিমানবন্দর হলো জলি গ্রান্ট বিমানবন্দর (৬০ কিলোমিটার)।