একেতো অনেক দিন ধরেই কানাডার সরকার ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টসহ সকল টেম্পুরারি রেসিডেন্টের সংখ্যা কমাতে cap বাস্তবায়ন করে চলছিলেন। তার সঙ্গে আরো নানাবিধ নিয়মকানুন তো আছেই। ফলে স্টুডেন্টরা যারা এদেশেই ছিলেন আগে থেকেই, যারা কিনা permanent residence এর চেষ্টা করতে ছিলেন তারাও বহুত বিপদে দিন কাটাচ্ছেন। সোজা কথায় সরকারের নির্দেশ, যদি requirements মিট না হয় বাড়িতে যাওয়া লাগবেই।
তারপরে আবার আরেক জ্বালা উদ্ভব হয়েছে। গত দুইদিন আগে কুড়ি বছর বয়সী এক যুবককে আটক করা হয়েছে কানাডার Ormstown, Quebec থেকে। যুবকের নাম হলো Muhammad Shahzeb Khan. কানাডা-আমেরিকা দুইদেশের পক্ষ থেকে তার নামে চার্জ করা হয়েছে।
তার সমস্যা কী? বলা হচ্ছে এই যুবক নাকি আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটি Jewish কমিউনিটিকে এ্যা*টাক করার পরিকল্পনা করতেছিল। সে পাকিস্তানের বংবংশোদ্ভূত। তিনি আরো দেশে স্টুডেন্ট ভিসায় গেছেন।
ঘটনাটা কী আপনারা পরিস্কার জানতে পারলেন।
এর ফলে কী রেজাল্ট দেখা যাচ্ছে?
এই যুবকের আটকের পর কানাডার স্টুডেন্ট ভিসার ব্যাপারে “greater scrutiny” নেওয়া হয়েছে। scrutiny মানে ক্রিটিক্যাল অবজারভেশনে আছে স্টুডেন্ট ভিসা বা স্টাডি পারমিট। বলতে পারেন আইসিইউতে আছে।
এখন আপনারা বলতে পারেন মুহাম্মদ আটক হইছে তো স্টুডেন্ট ভিসা আইসিইউতে রাখল ক্যান সরকার?
আচ্ছা থামেন। বলছি শোনেন। এই মুহাম্মদ হইল একজন ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট। তিনি স্টুডেন্ট ভিসায় আইছেন কানাডা থ্রু আমেরিকায়। এখন বুঝতে পারলেন তো কোথাকার জল কোথায় গিয়ে জটলা পাকাচ্ছে। একেতো ছাত্ররা তাদের deportation নিয়ে মহা যন্ত্রণায় আছেন। তারপর ইনি আইছেন নিউইয়র্ক এ্যা*টাক করতে। তাও স্টুডেন্ট ভিসায় এসে।
আমি ভাবতেছি যারা অলরেডি আছেন তাদের বেশিরভাগই তো যেতে হবে বাড়ি, কিন্তু আগামীতে আসতে চাইতেছেন তাদের ভিসা পাওয়া সেই কঠিন হবে। কীএ্যাক্টাবস্থা দেখেন তো!
আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন।