শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন

স্ক্যান্ডিনেভিয়ান সমজের মানুষ এতটা সুখী হবার পেছনে যে রহস্য রয়েছে

  • আপডেট সময় বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩

বিশ্বের কোন কোন দেশ কতটা সুখী এবং তাদের পর্যায়েক্রমে তালিকা করার জন্য জাতিসংঘ গবেষণা করে থাকে। প্রত্যেক বছরে এ গবেষণার রিপোর্ট পাবলিশ করা হয়ে থাকে। ২০১২ সাল থেকে এ গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ করার পর থেকে দেখা যায় যে, স্ক্যান্ডিনেভিয়ন দেশ সব সময় তালিকার উপরের দিকেই থাকে। তাদের দেশের মানুষ কেন এতটা সুখী তার কারণ জানা যাক আজকের আর্টিকেলে।

স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোর সংস্কৃতির অন্যতম বিশিষ্ট হচ্ছে বিশ্বাস, সমতা, উদারতা, উম্মুক্ততা ও স্বচ্ছতা ইত্যাদি। সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় একটি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান শিশু যে সংস্কৃতি রপ্ত করে তা তাদের সুখী জাতিতে পরিণত করে।

তাছাড়া স্ক্যান্ডিনেভিয়ানদের মধ্যে স্বাধীনতার অনুভূতি রয়েছে। অর্থনৈতিক মুক্তি, সামাজিক মুক্তি ইত্যাদি স্ক্যান্ডিনেভিয়ানদের সুখী বোধ করতে সাহায্য করে। জনগণের নিরাপত্তা রয়েছে সর্বোচ্চ।

স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশসমূহে চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে মুক্তবাজার অর্থনীতি অনুসরণ করার দরুন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অংশগ্রহণ করে থাকে, পাশাপাশি দেশসমূহ সামজিক কল্যাণ প্রোগ্রামের উপর জোর দেয়, যেমন- সার্বজনীন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সামাজিক সুবিধা।

যার ফলে সেখানে আয়বৈষম্য, বিভেদ কম। একজন অশিক্ষিত বাবা-মায়ের সন্তান চাইলে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে ফ্রিতে। রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে আয়বৈষম্য কম থাকার দরুন মানুষের মধ্যে হতাশা কম কাজ করে।

সামাজিক সহযোগিতা, উদারতা ইত্যাদি বিষয়ের উপর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশসমূহ এগিয়ে। একটি শিশু যখন নর্ডিক দেশে জন্ম নেয়, তার দায়িত্ব সরকারও নেয়। ফ্রি স্কুল, ফ্রি চিকিৎসা পেয়ে থাকে দেশের সকল নাগরিক। সামাজিক সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে চ্যারিটি, অন্যের উপকার।

একজন স্ক্যান্ডিনেভিয়ান নাগরিক দিনশেষে চিন্তা করবে আমি কি চ্যারিটিতে দান করেছি? এই চ্যারিটির মাধ্যমে একজন মানুষ মানসিক শান্তি পেয়ে থাকে। ঠিক তেমনিভাবে পরোপকারের মাধ্যমে তারা মানসিক শান্তি পেয়ে থাকে। শারীরিক অসুস্থতার জন্য সরকারের সহযোগিতা থাকে। শিক্ষার পর কেউ যদি চাকরি চলে যায়, রাষ্ট্র তার সামাজিক সুরক্ষা দিয়ে থাকে।

স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশে সোশ্যাল ডেমোক্রেসি থাকায় মানুষের সামাজিক সুরক্ষা অত্যন্ত শক্তিশালী। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ফ্রিসহ মৌলিখ অধিকার নিয়ে চিন্তা করতে হয় না জনগণকে। অনেকে মনে করেন, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ সমজাতীয় জাতির দেশ, সেজন্য সুখী। কিন্তু নিউজিল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এসব দেশে ভিন্ন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠী থাকলেও সুখ-প্রতিবেদনে তারা উপরের দিকে রয়েছে।

জুমবাংলা নিউজ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com