বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ অপরাহ্ন

স্কুলে খারাপ ছাত্র হয়েও যারা সেরা বিজ্ঞানী

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০২৩

নানান কারণে স্কুলের পড়ালেখায় ভালো ছিলেন না অনেক বিজ্ঞানী। সেজন্য স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু তারপর হয়ে উঠেছেন সেরা বিজ্ঞানী।

আলব্যার্ট আইনস্টাইন
শিক্ষক পছন্দ না হওয়ায় প্রাথমিক পর্যায়ের পড়ালেখায় আগ্রহ পাননি আইনস্টাইন। অবশ্য শিক্ষকরা ভেবেছিলেন, শিশু আইনস্টাইনের হয়তো শেখায় আগ্রহ নেই। কিন্তু জার্মানিতে জন্ম নেওয়া বিখ্যাত এই বিজ্ঞানী পরবর্তীতে সুইজারল্যান্ডে গিয়ে কলেজ পর্যায়ে গণিত আর পদার্থবিদ্যায় ভালো গ্রেড পেয়েছিলেন।

ভিলহেল্ম কনরাডে র‌্যোয়েনটগেন
এক্স-রে’র এই আবিষ্কারককে একবার স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। কারণ, তিনি লেখাপড়া বাদ দিয়ে শিক্ষকের কার্টুন আঁকছিলেন! পরে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেছিলেনে র‌্যোয়েনটগেন। ১৯০১ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পান। অথচ জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এখন যে নিয়ম, তার সময় যদি সেটি থাকত, তাহলে হয়তো তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া কঠিন হতো। কারণ, এখন ভালো বিষয়ে পড়তে হলে স্কুলে ভালো গ্রেড থাকা চাই।

লুই পাস্তুর
ভালো গ্রেড নিয়ে হাইস্কুল পাস করার ইচ্ছায় ফরাসি এই গবেষক একটি শ্রেণি পুনরায় পড়েছিলেন। স্কুলে তার খারাপ করার কারণ ছিল ‘হোমসিকনেস’ অর্থাৎ বাড়ির প্রতি টান। চামড়া ব্যবসায়ীর পরিবারে জন্ম নেওয়া পাস্তুর ভালোভাবে লেখাপড়া শেখার জন্য অল্প বয়সেই বাড়ি ছেড়ে প্যারিসের এক স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। পরবর্তী জীবনে পাস্তুর টিকা ও সংক্রামক রোগের একজন জগদ্বিখ্যাত গবেষক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।

টমাস এডিসন
ফোনোগ্রাফ, মোশন পিকচার ক্যামেরাসহ অনেক কিছুর আবিষ্কারক এই মার্কিন বিজ্ঞানী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা করেননি। এমনকি তার স্কুল শিক্ষকরা ভেবেছিলেন, এডিসন মেধাবী নন। আসলে তিনি বধির ছিলেন। পরবর্তীতে তার স্কুল শিক্ষিকা মা তার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। টেলিগ্রাফার হিসেবে চাকরিজীবন শুরু করা এডিসন পরবর্তীতে বিশ্বের অন্যতম সেরা উদ্ভাবক হয়ে উঠেছিলেন।

জর্জ ইস্টম্যান
বাবা মারা যাওয়ায় পরিবার চালাতে এডিসনের বন্ধু ইস্টম্যানকে স্কুলে পড়াশোনা শেষ না করেই ১৪ বছর বয়সে ব্যবসা শুরু করতে হয়েছিল। বিশ্বখ্যাত কোডাক কোম্পানি তারই তৈরি। ফটো পেপার থেকে শুরু করে রোল ফিল্ম— এসবই ইস্টম্যানের আবিষ্কার।

ভিলহেল্ম ভিয়েন
জার্মান এই বিজ্ঞানীর বেড়ে ওঠা পোল্যান্ডের মাসুরিয়ায়। খারাপ গ্রেডের কারণে তাকে স্কুল ছাড়তে হয়েছিল। পরে তিনি ব্যক্তিগত পর্যায়ে পড়ালেখা শিখে পাশের শহরে গিয়ে আরেক স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর বার্লিনে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯১১ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পান তিনি।

সৌজন্যে : ডয়চে ভেলে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com