আরব আমিরাতের অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন তৌক আল মারি সম্প্রতি অ্যারাবিয়ান ট্রাভেল মার্কেটের এক প্যানেল আলোচনায় বলেছেন, একটি মাত্র ভিসায় ৬টি দেশ ভ্রমণ করা যায়।
তিনি জানান, ইউরোপের শেনজেন ভিসার আদলে এই ভিসা চালু করা যায়। এর লক্ষ্য হলো জিসিসি অঞ্চলজুড়ে ভ্রমণকে আরো সুবিধাজনক এবং পর্যটনকে উৎসাহিত করা।
এক ভিসায় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার, বাহরাইন এবং কুয়েত ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্যেগে ‘জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুর’ নামে নতুন এই ভিসা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইউরোপের শেনজেন ভিসার আদলেই মূলত এই ভিসা চালু হবে।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমন কথা জানিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেনজেন ভিসায় যেমন ইউরোপের ২৭টি দেশ ঘোরা যায়, ‘জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুর’ নামে নতুন ভিসায় তেমনি উল্লেখিত ছয় দেশে অবাধে বেড়াতে পারবেন পর্যটকরা। প্রতিটি দেশের জন্য ফ্লাইট ও দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখতে জনপ্রতি এক হাজার ৫শ’ দিরহাম থেকে ভ্রমণ প্যাকেজ শুরু হবে।
জানা গেছে, এই প্যাকেজটি চালু হলে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং সৌদি আরবে কয়েক দিন থাকা ও ভ্রমণের জন্য প্রায় ৪ হাজার থেকে ৫হাজার দিরহাম খরচ হবে। এই খরচে রাত্রিযাপনসহ ফ্লাইট, হোটেল, যাতায়াত এবং ভ্রমণ সব খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইউনিফায়েড জিসিসি ট্যুরিস্ট ভিসা চালু হলে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক উপসাগরীয় অঞ্চল ভ্রমণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। যা ২০৩০ সাল নাগাদ ১২৮ দশমিক ৭ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে।