এর আগে বাঞ্জি জাম্পিং আর কায়াকিং শুনে ঘাবড়ে গেলেন নাকি? ভাবছেন, আরে বাবা হানিমুনে যাচ্ছি, কোথায় একটু চাঁদ, তারা, ফুল নিয়ে কথা বলব তা নয়, খালি লম্ফঝম্প। আপনাদের মনের কথা বুঝতে পেরেই তো নিয়ে এলাম আরও কয়েকটি হানিমুন ডেসটিনেশানের খবর, যেখানে রোম্যান্স জমে ক্ষীর হয়ে যাবে।
সাজানো গোছানো ছোট্ট এই দ্বীপ শহর, প্রেম করার জন্য আদর্শ। উপরি পাওনা হল জমিয়ে কেনাকাটা করার সুযোগ। বিশেষ করে রাতের ঝলমলে সিঙ্গাপুর ভারি মিষ্টি লাগে। নয় নয় করে দেখারও আছে অনেক কিছু। যেমন মেরিনা বে, সিঙ্গাপুর নাইট সাফারি, ইউনিভার্সাল স্টুডিয়ো ইত্যাদি। এমনিতে মোটামুটি সারা বছরই যাওয়া যায় এখানে তবে নভেম্বর থেকে মার্চ আবহাওয়া বেশি ভাল থাকে।
এটাও একটা ছোট্ট দ্বীপ। বেশ অন্যরকমের একটা হানিমুন চাইলে এখানে অবশ্যই চলে আসুন। সবাই এই দ্বীপকে কী নামে ডাকে জানেন? একে বলা হয় আইল্যান্ড অফ লাভ! আসলে এই দ্বীপ এতটাই সুন্দর যে এখানে গেলে এমনিতেই প্রেম জেগে উঠবে।
ভারত মহাসাগরের বুকে অবস্থিত এই দ্বীপ জনপ্রিয়তা পেয়েছে অনেক আগে। এখানকার সুন্দর সৈকতে আছে সাদা বালি আর রয়েছে অসংখ্য নাম না জানা পাখি আর আগ্নেয়গিরি। রোম্যান্টিক হানিমুনের জন্য মন্দ কী?
বুঝতেই পারছেন, প্যারিস বাদ দিয়ে কোনও রোম্যান্টিক তালিকা সম্পূর্ণ হয়না। আইফেল টাওয়ার, ফরাসি খাবার আর সুন্দর অলিগলিতে হাত ধরে ঘোরা, আহা সবাই বলে স্বর্গের চেয়েও সুন্দর এই পারি শহর। হানিমুনে পাড়ি দেওয়া যেতে পারে কী বলেন?
বালির মতো এতটা জনপ্রিয় না হলেও এই পাথুরে দ্বীপের আকর্ষণ কম নয়। যে সব দম্পতি ক্যাম্পিং ভালবাসেন তারা একবার এই জায়গাটি সম্পর্কে ভেবে দেখতে পারেন।
কামবোডিয়া মূলত বিখ্যাত মন্দিরের জন্য। তবে এই ছোট্ট দ্বীপটি তাঁদের জন্য যারা এই সময়টুকু একদম নিজের মতো করে নিভৃতে কাটাতে চান।
হানিমুন কাপলদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা দেখা যাচ্ছে এই জায়গাটি বিষয়ে। বিশেষ করে যারা সমুদ্র ভালবসেন তাঁদের এই জায়গা খুব ভাল লাগবে।
গ্রিস বললেই প্রথমেই মাথায় আসে ক্রিট বা এথেন্সের কথা। আরে বাবা এগুলো তো আছেই। এবার ইতিহাস বইয়ের বাইরে এসে সানতোরিনি দেখুন। কী যে সুন্দর ভাবতেই পারবেন না। অদ্ভুত গম্বুজ আকারের বহুবর্ণ বাড়ি আর সামনেই সমুদ্র, আহা রোম্যান্সের জন্য
রোম্যান্সের কথা যখন উঠল ইতালি বাদ যায় কী করে? আপনি হয়তো ভাবছেন, ইতালিতে তাস্কানি বা ফ্লোরেন্সের মতো সুন্দর জায়গা থাকতে আমালফি কেন? বিশ্বের অন্যতম সুন্দর প্রাকৃতিক কোস্টলাইন আছে এখানে। না দেখলে আফসোস থেকে যাবে।
ছবির মতো দেখতে একটা দ্বীপ, ঠিক যেমনটা আপনি গল্পের বইতে দেখেছেন, একদম সেরকম। সোনালি সৈকত আর নারকেল গাছে ঘেরা দ্বীপ রোম্যান্টিক হানিমুনের জন্য আদর্শ। দেখতে ভুলবেন না এখানকার তাভেউনি ঝর্না। এপ্রিল মাস থেকে সেপ্টেম্বর মোটামুটি সেরা সময় এখানে যাওয়ার।