1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের অপার সম্ভাবনা
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন

সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের অপার সম্ভাবনা

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫

জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইট সুন্দরবন সবসময়ই দেশি-বিদেশি ইকোট্যুরিস্টদের কাছে এক আকর্ষণীয় গন্তব্য। দিনরাত ২৪ ঘণ্টায় ছয়বার রূপ বদলায় এই রহস্যময় ম্যানগ্রোভ বন। 

বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা বাগেরহাট জেলার পূর্ব সুন্দরবনের কটকা, জামতলা ও কদমতলার সি-বিচে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য প্রকৃতিপ্রেমীদের মুগ্ধ করে। প্রাণ ও প্রকৃতির এমন মোহময় টানে প্রতিবছরই বহু ইকোট্যুরিস্ট ছুটে আসেন এখানে।

সুন্দরবনের বিস্তৃত বনভূমি জুড়ে বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন রাখতে প্রতিবছর জুন মাস থেকে একটানা তিন মাস পর্যটক ও বনজীবীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকে এখানে। তবে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্র, হারবাড়িয়া, শরণখোলা এবং আলিবান্দা এলাকার লোকালয় সংলগ্ন বনে সারা বছরই সীমিত পর্যটনের সুযোগ থাকে। পূর্ণাঙ্গ পর্যটন মৌসুম শুরু হয় ১ সেপ্টেম্বর থেকে, যা টানা নয় মাস পর্যন্ত চলে।

নয়নাভিরাম এই ম্যানগ্রোভ বনের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের আকর্ষণে প্রতি বছর গড়ে দেড় লাখের বেশি দেশি-বিদেশি ইকোট্যুরিস্ট সুন্দরবন ভ্রমণে আসেন। এর মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যটক বাগেরহাট জেলার পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জ এলাকায় ভ্রমণ করে থাকেন।

প্রায় ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই সুন্দরবনে সুন্দরীসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল ও ১৩ প্রজাতির অর্কিড রয়েছে। রায়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল ও মায়া হরিণ, কুমির, কিং কোবরা, ৩১৫ প্রজাতির পাখিসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর বসবাস রয়েছে এখানে।

ম্যানগ্রোভ এ বনটির ৩১ দশমিক ১৫ ভাগ এলাকাজুড়ে ৪৫০টি ছোট বড় নদী খাল ‘বিশ্বের সর্ববৃহৎ রামসার জলাভূমি’ হিসেবে স্বীকৃত।

বিশাল এ জলভাগে রয়েছে বিশ্ব থেকে হারিয়ে যাওয়া ইরাবতীসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন, কুমির, বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির বাটাগুর বাসকা কচ্ছপসহ ২১০ প্রজাতির মাছ।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর খুলনা, মোংলা ও শরণখোলা থেকে সুন্দরবনের দূরত্ব ও ভ্রমণের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। এর ফলে প্রতিদিন শত শত দেশি পর্যটক বিলাসবহুল লঞ্চ, ট্যুরিস্ট বোটসহ নানা ধরনের জলযানে করে সুন্দরবন ভ্রমণ করছেন। এ অভূতপূর্ব ভ্রমণ প্রবণতা সুন্দরবনে ইকোট্যুরিজমের এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাইল করিম চৌধুরী জানান, গত মৌসুমের চেয়ে এবার সুন্দরবনে পর্যটকের সংখ্যা দ্বিগুণের কাছাকাছি পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com