বর্তমান বিশ্বের উন্নততর প্রযুক্তি সম্পন্ন একটি রাষ্ট্র সাউথ কোরিয়া। দিন দিন দেশটি ছাড়িয়ে যাচ্ছে নিজেকে। প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের রয়েছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তির ছোয়া। সব কাজই অনলাইনে সম্পন্ন করতে হয়। নেই নগদ অর্থের সমস্যা। ভিসা থেকে শুরু করে সবকিছুই অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করে সাউথ কোরিয়ানরা। করোনাভাইরাসজনিত কারণে দেশটির যাবতীয় ভিসা প্রক্রিয়া বন্ধ ছিলো। তবে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীসহ বাংলাদেশের জন্য যাবতীয় ভিসা প্রক্রিয়া শুরু করছে।
সাউথ কোরিয়া মূলত ভিজিট, বিজনেস, স্টুডেন্ট ও ই৯, ইপিএস ভিসা প্রদান করে থাকে। সব ধরনের ভিসার জন্য যেসব মৌলিক কাগজপত্র প্রয়োজন-
১. ভিসার জন্য নির্ধারিত আবেদনপত্র
২. সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি
৩. পাসপোর্ট (ন্যূনতম ছয়মাস মেয়াদ থাকতে হবে)
৪. পাসপোর্টের প্রথম পাঁচ পাতার ফটোকপি
৫. কনস্যুলার বরাবর আবেদনপত্র
৬. ব্যাংক স্টেটমেন্ট (ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট সহ)
৭. এয়ার টিকেট বুকিং স্লিপ
৮. ট্যুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে ভিসা রিকোয়েস্টিং লেটার, ভ্রমণ পরিকল্পনা, হোটেল বুকিং স্লিপ/যেখানে থাকবেন তার ঠিকানা,
৯. স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি/জন্ব নিবন্ধনের ফটোকপি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদ সত্যায়িত, ভাষা জ্ঞানের প্রমাণ (কোরিয়ান কিংবা আইইএলটিএস)
১০ বিজনেস ভিসার জন্য আমন্ত্রণকৃত কোম্পানির বিজনেস রেজিস্ট্রেশন সনদ, ওই কোম্পানি থেকে সকল সাপোর্ট প্রদান করবে এমন সনদপত্র, অফিসিয়াল প্যাডে ভিসা রিকোয়েস্টিং লেটার, ট্রেড লাইসেন্স, ইনকাম ট্যাক্স সনদ ও আমন্ত্রণকৃত কোম্পানির ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি জমা দিতে হবে।
সবধরনের বাংলা কাগজপত্রের ইংরেজী অনুবাদসহ কোরিয়ান দূতাবাস, ঢাকার বারিধারায় জমা দিতে হবে। সাধারণত রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা-১২টা আবেদন গ্রহণ করা হয়। ভিসা প্রদানের সময় সকাল ৯টা-১২ এবং ২টা থেকে ৫টা।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: http://bgd.mofat.go.kr/english/as/bgd/main/index.jsp