1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
সস্তা ফ্লাইট বুকিংয়ের গোপন কৌশল: টাকা বাঁচিয়ে উড়ুন বিশ্বজুড়ে
রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সস্তা ফ্লাইট বুকিংয়ের গোপন কৌশল: টাকা বাঁচিয়ে উড়ুন বিশ্বজুড়ে পরিবার নিয়ে নিরাপদ ট্রিপ: ১০টি প্রমাণিত কৌশল ও গন্তব্য নির্দেশিকা সৌদি আরবে ভিসা ব্যবস্থায় নতুন নিয়ম বিমান ভ্রমণের আগে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন পর্যটনের দেশ মালদ্বীপের চেয়ে কোথায় পিছিয়ে বাংলাদেশ ২০২৪ সালে দেশের বাইরে ঘুরতে গেছেন বিশ্বের ১৪০ কোটি মানুষ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় জাপানে ভিড় জমাচ্ছেন রুশ পর্যটকরা ৮০ হাজার আপত্তিকর ছবি, ১০২ কোটি টাকা ব্ল্যাকমেইল: থাই নারীর কেলেঙ্কারি অনিয়মিত ৫০ হাজার অভিবাসী শিশুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ

সস্তা ফ্লাইট বুকিংয়ের গোপন কৌশল: টাকা বাঁচিয়ে উড়ুন বিশ্বজুড়ে

  • আপডেট সময় শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫

প্লেনের টিকিটের দাম দেখে কি বারবার স্বপ্নের ভ্রমণ স্থগিত রাখতে হয়? প্রিয়জনের সাথে দেখা করতে, নতুন দেশ ঘুরে দেখতে, ব্যবসার সভায় যোগ দিতে মন চাইলেও টিকিটের দাম যেন পাহাড়সম বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কষ্টে জমানো টাকা কি শুধু বিমান ভাড়াতেই উড়ে যাবে? চিন্তা করবেন না। সস্তা ফ্লাইট বুকিং কোন অলৌকিক বিষয় নয়, বরং কিছু সচেতনতা, কৌশল আর ধৈর্যের খেলা। এই লেখাটি আপনার জন্য – যিনি একটু খুঁজলে, একটু জানলে, একটু কৌশলী হলে সহজেই উড়তে চান স্বপ্নের আকাশে, টাকাও বাঁচাতে চান হাজার হাজার। ঢাকা থেকে কক্সবাজার, সিলেট থেকে লন্ডন, বা চট্টগ্রাম থেকে ব্যাংকক – সস্তা ফ্লাইট বুকিংয়ের এই গোপন রহস্যগুলো জানলে, আপনার জমানো টাকা থাকবে পকেটে, আর ভ্রমণের আনন্দ বাড়বে দ্বিগুণ। চলুন, জেনে নেওয়া যাক সেই কৌশলগুলো, যা আপনাকে পরিণত করবে একজন দক্ষ ফ্লাইট ডিল হান্টারে!

সস্তা ফ্লাইট বুকিংয়ের সময় ও সরঞ্জাম: আপনার সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র

সস্তা ফ্লাইট বুকিংয়ের প্রথম ও প্রধান শর্ত হল সঠিক সময়ে অনুসন্ধান শুরু করা এবং সঠিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা। ভাবছেন, “কখন বুক করব?” বা “কোথায় খুঁজব?” – এর উত্তরগুলোই আপনার সঞ্চয়ের পথ খুলে দিতে পারে।

  • বুকিংয়ের সোনালী সময় জানুন:
    • অগ্রিম বুকিং (Book in Advance): সাধারণ নীতি হল, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য ২-৮ মাস আগে, আর অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য ২-৬ সপ্তাহ আগে বুকিং শুরু করলে ভালো দাম পাবার সম্ভাবনা বেশি। শেষ মুহূর্তের বুকিং প্রায়ই অনেক বেশি দামি হয়। তবে, এটা একেবারে রুল অব থাম্ব নয়। কখনো কখনো লাস্ট মিনিট ডিলও পাওয়া যায় (সেক্ষেত্রে পরের সেকশনে আলোচনা করা হবে)।
    • সপ্তাহের সঠিক দিন (Best Day to Book & Fly): গবেষণা এবং অভিজ্ঞতা বলে, সাধারণত মঙ্গলবার ও বুধবার বুকিং করলে সবচেয়ে কম দাম পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এয়ারলাইনগুলো প্রায়ই সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে নতুন ডিল ও ফেয়ার রিলিজ করে। আর উড়ান দিনের ক্ষেত্রে, মঙ্গল, বুধ ও শনিবার উড়লে দাম তুলনামূলক কম হতে পারে। শুক্রবার রাত, রবিবার বা ছুটির দিনের আগের দিন সাধারণত সবচেয়ে ব্যয়বহুল। Skyscanner বা Google Flights-এর মতো টুলে “পুরো মাসের দাম” (Whole Month View) ফিচার ব্যবহার করে দেখুন কোন তারিখগুলো সবচেয়ে সস্তা।
    • “স্মার্ট” সময়ে অনুসন্ধান (Search at the Right Time): মধ্যরাত থেকে ভোররাত (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) বা অফিসের সময়ের পরে অনুসন্ধান করলে কখনো কখনো কম দামের টিকিট চোখে পড়ে। ধারণা করা হয়, এ সময়ে ওয়েবসাইট ট্রাফিক কম থাকে এবং ডাইনামিক প্রাইসিংয়ে দাম কম দেখাতে পারে। তবে, এটা সর্বদা সত্য নয়, নিয়মিত চেক করা জরুরি।
    • মৌসুম বুঝে চলুন (Off-Season & Shoulder Season Travel): পিক সিজনে (যেমন: ঈদের সময়, পূজার ছুটি, ইউরোপের গ্রীষ্মকাল) ফ্লাইটের দাম আকাশছোঁয়া। শুধুমাত্র আবশ্যক না হলে অফ-সিজনে ভ্রমণের চেষ্টা করুন। আরও ভালো হয় শোল্ডার সিজনে (পিক সিজনের ঠিক আগে বা পরে) ভ্রমণ করলে – আবহাওয়া বেশ ভালো থাকে, ভিড় কম থাকে, আর দামও অনেকটাই কমে আসে। যেমন: ইউরোপে মে-জুনের শুরু বা সেপ্টেম্বর-অক্টোবর; দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বর্ষার ঠিক পরের সময়।
  • সঠিক সরঞ্জামে জাদু দেখুন:
      • ফ্লাইট সার্চ ইঞ্জিন/মেটা সার্চ ইঞ্জিন (Flight Search Engines): এগুলোই আপনার প্রধান সহায়ক। শুধু একটি নয়, অনেকগুলো সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করুন। প্রত্যেকটির ডাটাবেস এবং এয়ারলাইন/ট্রাভেল এজেন্সির সাথে চুক্তি আলাদা। জনপ্রিয় কিছু অপশন:
        • Google Flights: দ্রুত, ব্যবহারে সহজ, পুরো মাসের দাম দেখার সুবিধা, দামের ট্রেন্ড গ্রাফ, মাল্টি-সিটি/স্টপওভার সার্চের অসাধারণ ক্ষমতা। দাম পরিবর্তনের নোটিফিকেশন সেট করা যায়। (https://www.google.com/travel/flights)
        • Skyscanner: বিশাল ডাটাবেস, “যেকোনো স্থানে” (Everywhere) সার্চের অপশন (যদি গন্তব্য নির্দিষ্ট না থাকে), পুরো মাসের দাম ভিউ, দাম অ্যালার্ট। (https://www.skyscanner.net/)
        • Kayak: শক্তিশালী ফিল্টার, একই সাথে হোটেল ও কার রেন্টাল খোঁজার সুবিধা, প্রেডিক্টিভ টুলস (দাম বাড়বে নাকি কমবে তার পূর্বাভাস)। (https://www.kayak.com/)
        • Momondo: প্রায়ই আশ্চর্যজনকভাবে কম দাম খুঁজে পায়, বিশেষ করে কম্বিনেশন ফ্লাইটে। (https://www.momondo.com/)
      • দাম অ্যালার্ট সেট করুন (Price Alerts): প্রায় সব ফ্লাইট সার্চ ইঞ্জিন এবং অনেক এয়ারলাইন ও ট্রাভেল এজেন্সির ওয়েবসাইটেই দাম অ্যালার্ট সেট করার সুবিধা আছে। আপনার পছন্দের রুট এবং ভ্রমণের তারিখ রেঞ্জ সেট করে রাখুন। দাম কমলেই আপনাকে ইমেইল বা নোটিফিকেশন পাঠানো হবে। এটি সবচেয়ে প্যাসিভ এবং কার্যকরী কৌশলগুলোর একটি
      • গোপন মোড/ইনকগনিটো মোড ব্যবহার করুন (Incognito/Private Browsing): অনেকের ধারণা, বারবার সার্চ করলে ওয়েবসাইট কুকিজের মাধ্যমে আপনার আগ্রহ ট্র্যাক করে দাম বাড়িয়ে দেয়। এটা কতটা সত্য, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে, নিরাপদ থাকতে এবং ক্যাশড ডাটার প্রভাব এড়াতে ইনকগনিটো উইন্ডো বা প্রাইভেট ব্রাউজিং মোড (Chrome, Firefox, Safari সব ব্রাউজারে আছে) ব্যবহার করে সার্চ করুন। এতে প্রতিবার সার্চই যেন “প্রথম বার” সার্চের মতো ফল দেয়।
      • এয়ারলাইন অ্যাপ এবং নিউজলেটার (Airline Apps & Newsletters): আপনার পছন্দের এয়ারলাইনগুলোর অফিসিয়াল অ্যাপ ডাউনলোড করুন এবং তাদের নিউজলেটারে সাবস্ক্রাইব করুন। এক্সক্লুসিভ অ্যাপ-অনলি ডিল, ফ্ল্যাশ সেল, এবং প্রমো কোড প্রায়ই শুধুমাত্র এই চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশি এয়ারলাইনগুলোর (বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার) অ্যাপগুলোতেও মাঝেমধ্যে ভালো অফার থাকে।
    বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা: গত বছর ডিসেম্বরে ঢাকা থেকে ব্যাংকক যাওয়ার টিকিট খুঁজছিলাম। গুগল ফ্লাইটসে আগামী দুই মাসের দাম ট্র্যাক করছিলাম। হঠাৎ এক মঙ্গলবার সকালে, স্কাইস্ক্যানারে অ্যালার্ট এলো – একটি মধ্যপ্রাচ্যের এয়ারলাইন্সের টিকিট প্রায় ৩০% কমে গেছে! ইনকগনিটো মোডে গিয়ে সরাসরি এয়ারলাইন ওয়েবসাইটে চেক করে, সেখান থেকেই বুক করে ফেললাম। একই টিকিট অন্য সার্চ ইঞ্জিনে তখনও পুরনো দামেই দেখাচ্ছিল। ধৈর্য্য এবং সঠিক টুলের কম্বিনেশনই মূল চাবিকাঠি।

গন্তব্য, এয়ারলাইন ও রুট নিয়ে কৌশল: লুকানো ডিল খুঁজে বের করুন

সস্তা ফ্লাইট বুকিংয়ের দ্বিতীয় স্তম্ভ হল নমনীয়তা। গন্তব্য, ভ্রমণের তারিখ, এমনকি উড়ান রুট সম্পর্কে একটু নমনীয় হলে আপনি সহজেই হাজার হাজার টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন।

  • গন্তব্যে নমনীয়তা (Be Flexible with Your Destination):
    • “যেকোনো স্থানে” সার্চ (The ‘Everywhere’ Search): যদি আপনার ভ্রমণের প্রধান উদ্দেশ্য হয় ছুটি কাটানো, নতুন জায়গা দেখা, এবং নির্দিষ্ট কোনো দেশ বা শহরে যাওয়া বাধ্যতামূলক না হয়, তাহলে Skyscanner বা Google Flights-এর “যেকোনো স্থানে” (Explore / Everywhere) অপশনটি আপনার জন্য সোনার খনি। শুধু আপনার বেস এয়ারপোর্ট (যেমন: ঢাকা – DAC) এবং ভ্রমণের তারিখ লিখে গন্তব্য হিসেবে “যেকোনো স্থানে” সিলেক্ট করুন। সার্চ ইঞ্জিন আপনাকে তারিখ অনুযায়ী সবচেয়ে সস্তা গন্তব্যগুলোর তালিকা দেখাবে। হয়তো আপনি ভাবছিলেন ব্যালিতে যাবেন, কিন্তু দেখলেন ভিয়েতনাম বা শ্রীলঙ্কার দাম অর্ধেক! এভাবেই খুঁজে পেতে পারেন অপ্রত্যাশিত, সস্তা আর মজার গন্তব্য।
    • নিয়ারবাই এয়ারপোর্টস (Nearby Airports): আপনার টার্গেট গন্তব্যের কাছাকাছি অন্য এয়ারপোর্টগুলোতেও ফ্লাইট আছে কিনা চেক করুন। যেমন:
      • লন্ডনে যেতে চাইলে শুধু হিথরো (LHR) না, গ্যাটউইক (LGW), স্ট্যানস্টেড (STN), বা লুটন (LTN) থেকেও উড়ান হতে পারে, যার দাম অনেক কমও হতে পারে। তারপর ট্রেন বা বাসে করে সহজেই পৌঁছে যেতে পারেন মূল শহরে।
      • থাইল্যান্ডে যেতে চাইলে শুধু ব্যাংকক (BKK) না, এর কাছাকাছি ডন মুয়াং (DMK) বা এমনকি ফুকেট (HKT) বা চিয়াং মাই (CNX) এ ল্যান্ড করার বিকল্প দেখুন। অনেক এয়ারলাইন্সের কম দামের ফ্লাইট এসব বিকল্প এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করে।
      • ভারতের দিল্লিতে যেতে ইন্দিরা গান্ধী (DEL) ছাড়াও দেখুন নয়ডার জুহু (বেশি দূরে নয়)।
    • সেকেন্ডারি সিটিজ (Consider Secondary Cities): সরাসরি বিখ্যাত ট্যুরিস্ট স্পটে না গিয়ে কাছাকাছি অন্য শহরে গিয়ে সেখান থেকে স্থলপথে যাওয়ার বিকল্প ভাবুন। যেমন: ফ্রান্সে সরাসরি প্যারিসে না গিয়ে লিওন বা মার্সেইলে গিয়ে টিজিভি ট্রেনে প্যারিস। দামের পার্থক্য উল্লেখযোগ্য হতে পারে।
  • এয়ারলাইন ও রুটের কৌশল (Airline & Routing Strategies):
      • লো-কস্ট ক্যারিয়ার্স (Low-Cost Carriers – LCCs): অভ্যন্তরীণ বা আঞ্চলিক রুটে লো-কস্ট ক্যারিয়ার্স প্রায়ই অনেক সস্তা। বাংলাদেশে নভোএয়ার (ঢাকা-কলকাতা, ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-সিলেট ইত্যাদি) এর প্রধান উদাহরণ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এয়ারএশিয়া, স্কুট, ভিয়েটজেট, ইন্ডিয়াতে ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, মধ্যপ্রাচ্যে ফ্লাইদুবাই, এয়ার আরবিয়া, ইউরোপে রায়ানএয়ার, ইজিজেট, উইজএয়ার – এরা অনেক সময় ট্র্যাডিশনাল এয়ারলাইনগুলোর চেয়ে অর্ধেক দামেও টিকিট দিতে পারে। তবে মনে রাখবেন:
        • অ্যাড-অনস: এই এয়ারলাইনগুলো প্রায়ই শুধু বেসিক ফেয়ার (সিট + ছোট ব্যাগ) অফার করে। চেকড ব্যাগাগুলো, খাবার, সিট সিলেকশন, প্রায়রি বোর্ডিং – প্রতিটির জন্য আলাদা ফি দিতে হয়। বুকিংয়ের সময় বা পরে ম্যানেজমেন্ট পোর্টাল থেকে এগুলো যোগ করলে মোট খরচ বেড়ে যেতে পারে। সম্ভাব্য সব ফি যোগ করে তারপর মূল এয়ারলাইন্সের দামের সাথে তুলনা করুন। কখনো কখনো সব মিলিয়ে দাম কাছাকাছি বা বেশি হয়ে যায়!
        • স্ট্রিক্ট পলিসি: চেক-ইন ডেডলাইন, ব্যাগ সাইজ ও ওজনের লিমিট, নাম পরিবর্তনের ফি – এগুলোতে এরা বেশ কঠোর। নিয়ম কানুন ভালো করে পড়ুন।
      • স্টপওভার/কানেকটিং ফ্লাইটস (Embrace Stopovers): সরাসরি (নন-স্টপ) ফ্লাইট সবসময় সেরা দামের হয় না। কানেকটিং ফ্লাইট বা একাধিক স্টপওভার আছে এমন ফ্লাইট প্রায়ই অনেক সস্তা হতে পারে। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ স্টপওভার থাকলে (১২ ঘন্টা থেকে ২৪ ঘন্টা বা তার বেশি) আপনি বিনামূল্যে বা অল্প খরচে সেই ট্রানজিট শহরটিও ঘুরে দেখতে পারেন! অনেক এয়ারলাইন্স (যেমন: তুর্কিশ এয়ারলাইন্স, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস) ফ্রি স্টপওভার প্যাকেজ অফার করে ইস্তাম্বুল, দোহা বা দুবাই ঘুরে যাওয়ার সুযোগ দেয়। এটা আপনার ভ্রমণকে এক টিকিটে দুই দেশের অভিজ্ঞতায় পরিণত করতে পারে। গুগল ফ্লাইটস বা কায়াকে মাল্টি-সিটি সার্চ অপশন ব্যবহার করে সহজেই স্টপওভার সহ ফ্লাইট প্ল্যান করতে পারেন।
      • কোডশেয়ার ও পার্টনার এয়ারলাইনস (Code-shares & Airline Alliances): একটি এয়ারলাইন্সের টিকিটে অন্য এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে চড়ার সুযোগ থাকে। যেমন: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিটে কখনো কখনো সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, থাই এয়ারওয়েজ বা মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সেগমেন্ট থাকে। বিভিন্ন এয়ারলাইন্স অ্যালায়েন্স (স্টার অ্যালায়েন্স, ওয়ানওয়ার্ল্ড, স্কাইটিম) এর সদস্য এয়ারলাইনগুলোর মধ্যে পার্টনারশিপ থাকে। এক অ্যালায়েন্সের এয়ারলাইন্সের টিকিটে অন্য সদস্যের ফ্লাইটে চড়ার সুযোগ পেলে সস্তা কম্বিনেশন মিলতে পারে। সার্চ ইঞ্জিনে এসব কম্বিনেশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেখায়।
      • মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ এয়ারলাইনস (Mix and Match Airlines): গন্তব্যে যাওয়া এবং ফেরত আসার টিকিট ভিন্ন ভিন্ন এয়ারলাইন্স থেকে কিনুন। এটাকে প্রায়ই “হিডেন সিটি টিকেটিং” বা “ব্যাক-টু-ব্যাক টিকেটিং” এর অংশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তবে এটি সরলরূপে দুটি আলাদা ওয়ে টিকিট কেনা। যেমন: ঢাকা থেকে ব্যাংকক গেলেন এয়ারএশিয়ায়, আর ব্যাংকক থেকে ঢাকায় ফিরলেন নভোএয়ারে। সার্চ ইঞ্জিনে মাল্টি-সিটি অপশনে একই রাউন্ডট্রিপে দুটি আলাদা এয়ারলাইন্স সিলেক্ট করে দেখুন দাম কেমন আসে। অনেক সময়েই এটি সস্তা হয়।
    বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট

সবচেয়ে উপেক্ষিত কৌশল: ভুলে যাওয়া পথে সঞ্চয়

সস্তা ফ্লাইট বুকিংয়ের তৃতীয় দিকটি হল সেই কৌশলগুলো ব্যবহার করা যেগুলো অনেকেই ভুলে যায় বা জানেই না। এগুলোই প্রায়ই আপনাকে দিতে পারে সবচেয়ে বড় ডিল।

  • লাস্ট মিনিট ডিল না, বরং “মিস্টেক ফেয়ার” (Mistake Fares): কখনো কখনো এয়ারলাইন বা ট্রাভেল এজেন্সির ওয়েবসাইটে ভুলবশত (হিউম্যান এরর বা টেকনিক্যাল গ্লিচ) টিকিটের দাম অনেক কম দেখায় – যেমন লন্ডন-ঢাকা রাউন্ডট্রিপ ৩০০ ডলারে! এগুলোকে “মিস্টেক ফেয়ার” বলে। যদিও এয়ারলাইনরা পরে এই টিকিট বাতিল করতে পারে, অনেক সময় তারা সম্মানও করে। এই ডিল পেতে হলে আপনাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ফেসবুকের কিছু গ্রুপ (যেমন: Secret Flying, Fly4free) বা ওয়েবসাইট (The Flight Deal, Scott’s Cheap Flights – এখন Going.com) এই মিস্টেক ফেয়ার দ্রুত পোস্ট করে। সাবস্ক্রাইব করে রাখুন! তবে সাবধান: সবসময় ভেরিফাই করুন, দ্রুত কিন্তু তাড়াহুড়ো করে বুক করবেন না, ক্রেডিট কার্ডে পর্যাপ্ত লিমিট রাখুন এবং কেন্সেলেশন পলিসি জেনে নিন।
  • এয়ারলাইন মাইল ও লয়ালটি প্রোগ্রাম (Airline Miles & Loyalty Programs): বারবার ভ্রমণ করলে, বিশেষ করে নির্দিষ্ট এয়ারলাইন্স বা অ্যালায়েন্স ব্যবহার করলে, তাদের ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লায়ার প্রোগ্রামে (FFP) জয়েন করুন। উড়ান, ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে শপিং, হোটেল বুকিং, ডাইনিং ইত্যাদি থেকে মাইল জমা হয়। পরে এই মাইল দিয়ে প্রায় ফ্রি টিকিট বা আপগ্রেড পেতে পারেন। বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডেও এখন অনেকেই ট্রাভেল রিওয়ার্ডস অফার করে। প্রোগ্রামের নিয়মকানুন ভালো করে বুঝে নিন। বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ (CAAB) এর ওয়েবসাইটে দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সের তালিকা পাবেন, তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের লয়ালটি প্রোগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
  • ক্রেডিট কার্ড ট্রাভেল বেনিফিটস (Travel Credit Card Benefits): অনেক ক্রেডিট কার্ড (বিশেষ করে ট্রাভেল-ফোকাসড কার্ড) নানারকম সুবিধা দেয়:
    • সাইন-আপ বোনাস: নতুন কার্ড নিলে প্রচুর বোনাস মাইল/পয়েন্ট (যা দিয়ে প্রায় ফ্রি টিকিট পাওয়া যায়)।
    • ট্রাভেল ইনশ্যুরেন্স: ফ্লাইট বাতিল, মিসড কানেকশন, চিকিৎসা ইত্যাদির জন্য বিনামূল্যে ইনশ্যুরেন্স কভারেজ।
    • লাউঞ্জ অ্যাক্সেস: এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে বিনামূল্যে বা ডিস্কাউন্টে প্রবেশ।
    • বিনামূল্যে চেকড ব্যাগ: নির্দিষ্ট এয়ারলাইন্সে বিনামূল্যে চেকড ব্যাগ সুবিধা।
    • নো ফরেন ট্রানজ্যাকশন ফি: বিদেশে কার্ড ব্যবহারে অতিরিক্ত ফি লাগে না।
      এই সুবিধাগুলো কাজে লাগিয়ে পরোক্ষভাবে অনেক টাকা বাঁচানো যায়।
  • ট্রাভেল এজেন্টের শক্তি (Don’t Discount Travel Agents – Sometimes): ইন্টারনেট যুগে অনেকেই ট্রাভেল এজেন্টকে ভুলে গেছেন। কিন্তু জটিল রুট (বহু স্টপওভার, মাল্টি-সিটি), গ্রুপ বুকিং, বা লাস্ট মিনিট ডিলের ক্ষেত্রে একজন ভালো ট্রাভেল এজেন্ট অলৌকিক কাজ করতে পারেন। তাদের কাছে হয়তো ব্লকড সিট বা নেগোশিয়েট করা রেটের সুবিধা আছে। তবে, বুকিংয়ের আগে অনলাইন দামের সাথে তুলনা করে নিন নিশ্চিত হওয়ার জন্য।
  • কেন্সেলেশন/রিডেটিং পলিসি বুঝে নিন (Understand Cancellation/Re-booking Policies): কোভিড পরবর্তী সময়ে ফ্লেক্সিবিলিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে টিকিট বুক করছেন, তার রিফান্ড পলিসি, রিডেটিং ফি, বা নাম পরিবর্তনের ফি কেমন, তা ভালো করে পড়ুন। সামান্য বেশি দামের টিকিট যদি ফুল রিফান্ডেবল বা নাম পরিবর্তনে ফ্রি হয়, তাহলে তা ভবিষ্যতে ঝামেলা বা অতিরিক্ত খরচ থেকে বাঁচাতে পারে। অনেক এয়ারলাইন্স এখন ফ্লেক্সি টিকিট অফার করে।

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা: একবার ইউরোপ ট্রিপ প্ল্যান করছিলাম। নির্দিষ্ট শহরগুলোতে সরাসরি উড়ানের দাম ছিল চড়া। গুগল ফ্লাইটসের মাল্টি-সিটি অপশন ব্যবহার করে দেখলাম, ঢাকা থেকে ইস্তাম্বুল (তুর্কিশ এয়ারলাইন্স), তারপর ইস্তাম্বুল থেকে রোম (লো-কস্টে), রোম থেকে বার্সেলোনা (ট্রেন), বার্সেলোনা থেকে আবার ইস্তাম্বুল (লো-কস্ট), তারপর ইস্তাম্বুল থেকে ঢাকা – এই রুটে পুরো ট্রিপের ফ্লাইট খরচ এসেছিল ঢাকা থেকে রোম সরাসরি রাউন্ডট্রিপের দামের প্রায় সমান! আর ইস্তাম্বুলে দুটি লম্বা স্টপওভারে শহরটিও ঘুরে নিলাম। নমনীয়তাই ছিল মূল মন্ত্র।

সতর্কীকরণ: কিছু ট্রাভেল ওয়েবসাইট বা এজেন্ট অবিশ্বাস্যভাবে কম দাম দেখিয়ে ট্র্যাপ করে। বুকিংয়ের আগে সাইটের রিভিউ, যোগাযোগের ঠিকানা, পেমেন্ট গেটওয়ে সুরক্ষা (HTTPS, লক আইকন) ভালো করে চেক করুন। অতি কম দাম দেখলে সন্দেহ করুন। বাংলাদেশে অনলাইন বুকিংয়ের ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বা CAAB এর ওয়েবসাইটে রেজিস্টার্ড ও নির্ভরযোগ্য ট্রাভেল এজেন্টের তালিকা পাওয়া যেতে পারে (সরাসরি তালিকা না থাকলেও যোগাযোগ করে জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে)।

সস্তা ফ্লাইট বুকিং কোনো ভাগ্যের বিষয় নয়; এটি একটি দক্ষতা যা রপ্ত করতে হয় সময়, ধৈর্য্য এবং এই গোপন কৌশলগুলোর সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে। সময়ের খেলায় জিতে (মঙ্গলবার বুকিং, অফ-সিজন ভ্রমণ), সঠিক সরঞ্জামের জাদুতে (গুগল ফ্লাইটস, স্কাইস্ক্যানার, দাম অ্যালার্ট), গন্তব্য ও রুটে নমনীয় হয়ে (নিয়ারবাই এয়ারপোর্ট, স্টপওভার, মিক্স এয়ারলাইন্স), এবং ভুলে যাওয়া পথে হেঁটে (মাইলেজ, ক্রেডিট কার্ড বেনিফিট, মিস্টেক ফেয়ারের নজর রাখা) আপনি সহজেই আপনার স্বপ্নের ভ্রমণের খরচ অর্ধেক বা তারও বেশি কমিয়ে আনতে পারেন। মনে রাখবেন, প্রতিটি বাঁচানো টাকা আপনার ভ্রমণের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দেবে। তাহলে আর দেরি কেন? আজই শুরু করুন আপনার “সস্তা ফ্লাইট বুকিং” অভিযান, গুগল ফ্লাইটস খুলে বসুন, দাম অ্যালার্ট সেট করুন, এবং উড়ে বেড়ান বিশ্বজুড়ে – টাকাও বাঁচান, আনন্দও বাঁচান! আপনার পরবর্তী এডভেঞ্চারের টিকিট হয়তো অপেক্ষা করছে আপনারই কম্পিউটার স্ক্রিনে, একটি ক্লিক দূরে!

জেনে রাখুন (FAQs)

১. সত্যিই কি ইনকগনিটো মোডে ফ্লাইটের দাম কম দেখায়?
উত্তর: এটি পুরোপুরি প্রমাণিত নয় এবং এয়ারলাইন বা সার্চ ইঞ্জিনভেদে ভিন্ন হতে পারে। ধারণা করা হয়, বারবার সার্চ করলে বা কুকিজের মাধ্যমে আপনার আগ্রহ ট্র্যাক করে দাম বাড়ানো হতে পারে। ইনকগনিটো মোডে কুকিজ সেভ হয় না, ফলে প্রতিবার সার্চই যেন নতুন মনে হয়। এটি ক্ষতিকর নয়, তাই নিরাপদ থাকতে এবং নিশ্চিত হতে ইনকগনিটো বা প্রাইভেট ব্রাউজিং মোডে সার্চ করা ভালো অভ্যাস। তবে, দাম কম পাবার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হল দাম অ্যালার্ট সেট করা এবং নিয়মিত তুলনা করা।

২. লো-কস্ট ক্যারিয়ার (LCC) এ সত্যি কি টাকা বাঁচানো যায়?
উত্তর: হ্যাঁ, বিশেষ করে স্বল্প দূরত্বের বা আঞ্চলিক রুটে লো-কস্ট ক্যারিয়ারগুলো প্রায়ই ট্র্যাডিশনাল এয়ারলাইনগুলোর চেয়ে অনেক সস্তা বেসিক ফেয়ার অফার করে। তবে, সতর্কতা হলো: চেকড ব্যাগ, খাবার, সিট সিলেকশন, প্রিন্টেড বোর্ডিং পাস ইত্যাদি প্রায় সব কিছুর জন্য আলাদা ফি দিতে হয়। বেসিক ফেয়ারের সাথে সম্ভাব্য সব অতিরিক্ত ফি যোগ করে তারপর মূল এয়ারলাইন্সের দামের সাথে তুলনা করলে বোঝা যাবে প্রকৃত সঞ্চয় কতটুকু। শুধু বেসিক ফেয়ারের দাম দেখে বিভ্রান্ত হবেন না।

৩. ফ্লাইট বুকিংয়ের সেরা দিন কোনটি?
উত্তর: বিভিন্ন গবেষণা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে, মঙ্গলবার ও বুধবার সাধারণত ফ্লাইট বুকিংয়ের সেরা দিন হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ, এয়ারলাইনগুলো প্রায়ই সোমবার রাত বা মঙ্গলবার সকালে নতুন ডিল এবং স্পেশাল অফার রিলিজ করে থাকে। এছাড়া, উড়ান দিনের ক্ষেত্রে মঙ্গলবার, বুধবার ও শনিবার সাধারণত কম ভিড় এবং তুলনামূলক কম দামের দিন। শুক্রবার সন্ধ্যা, রবিবার বা ছুটির আগের দিনগুলোতে দাম বেশি থাকে।

৪. আন্তর্জাতিক ফ্লাইট কতদিন আগে বুক করা উচিত?
উত্তর: আদর্শ সময়সীমা হল ২ মাস থেকে ৮ মাস আগে, বিশেষ করে পিক সিজনের ভ্রমণের জন্য। তবে, এটি একটি নমনীয় রেঞ্জ। অনেক সময় ৩-৬ মাস আগেও ভালো ডিল মিলতে পারে। শেষ মুহূর্তের (১ মাস বা তার কম আগে) বুকিং প্রায়ই সবচেয়ে দামি হয়, তবে লাস্ট মিনিট ডিলের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও হতে পারে। নিয়মিত দাম ট্র্যাক করা এবং অ্যালার্ট সেট করাই সর্বোত্তম পদ্ধতি। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য সাধারণত ২-৬ সপ্তাহ আগে বুকিং ভালো।

৫. “মিস্টেক ফেয়ার” কি বিশ্বাসযোগ্য?
উত্তর: মিস্টেক ফেয়ার বা এয়ারলাইন/এজেন্সির ওয়েবসাইটে ভুলবশত প্রদর্শিত অতি কম দামের টিকিট আসলেই পাওয়া যায় এবং অনেক সময় এয়ারলাইনরা তা সম্মানও করে। তবে, এটি ঝুঁকিপূর্ণ। এয়ারলাইনরা যে কোনো সময় এই টিকিট বাতিল করতে পারে (যা বিরল নয়)। এছাড়া, এই ডিলগুলো খুব অল্প সময়ের জন্য পাওয়া যায় এবং দ্রুত বুক করতে হয়। বুক করার আগে এয়ারলাইনের নাম, রিভিউ, এবং কেন্সেলেশন পলিসি ভালো করে চেক করুন। ক্রেডিট কার্ডে বুক করলে চার্জ ব্যাকের সুযোগ থাকে। সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে বড় অঙ্কের পেমেন্ট করা এড়িয়ে চলুন।

৬. বাংলাদেশ থেকে কোন টুলস দিয়ে সস্তা ফ্লাইট খুঁজব?
উত্তর: বাংলাদেশ থেকে Google Flights, Skyscanner, Kayak, এবং Momondo – এই চারটি ফ্লাইট সার্চ ইঞ্জিন/মেটা সার্চ ইঞ্জিন সবচেয়ে কার্যকর এবং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এগুলোতে বাংলাদেশের সব প্রধান এয়ারলাইন্স (বিমান, ইউএস-বাংলা, নভোএয়ার) এবং আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট থাকে। এছাড়া, দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (biman-airlines.com, usbair.com, flynovoair.com) এবং অ্যাপগুলোতেও মাঝেমধ্যে এক্সক্লুসিভ অফার থাকে। দাম তুলনা করার জন্য একাধিক টুল ব্যবহার করাই ভালো।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com