ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগ দেওয়ার আলোচনা স্থগিত করায় নিজ দেশের সরকারের বিরুদ্ধে জর্জিয়ার মানুষের চলমান বিক্ষোভ গতকাল রোববার চতুর্থ রাতে গড়িয়েছে। রাজধানী তিবিলিসিতে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
কয়েক দিন ধরে চলা এ বিক্ষোভের ঘটনাকে ‘বিপ্লবের চেষ্টা’ বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ।
স্থানীয় সময় রোববার রাতে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের পুলিশকে লক্ষ্য করে আতশবাজি ছোড়েন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে হটাতে জলকামান ব্যবহার করে, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে।
ইইউতে যোগদানের বিষয়ে আলোচনা স্থগিত করার ঘোষণার পর থেকে জর্জিয়াবাসী সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। দাবি উঠেছে, নতুন নির্বাচন আয়োজনে। বলা হচ্ছে, দেশটির বর্তমান সরকারের ওপর মস্কোর প্রভাব রয়েছে।
তবে জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি কোবাখিদজে নতুন নির্বাচনের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সরকারবিরোধীদের মিথ্যাচারের শিকার হচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে জর্জিয়ায় সাধারণ নির্বাচন হয়েছে। যদিও বিরোধীরা এ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছে।
জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সালোমি জোউরাবিচভিলি পশ্চিমাপন্থী হিসেবে পরিচিত। সেই সঙ্গে তিনি ইইউতে জর্জিয়ার যোগ দেওয়ার পক্ষে বরাবরই সরব। কয়েক সপ্তাহ পর প্রেসিডেন্ট পদে সালোমির মেয়াদ শেষ হবে। এ পরিস্থিতিতে সালোমি বলেছেন, তিনি তাঁর অবস্থানে অনড় থাকবেন।
এদিকে জর্জিয়ায় চলমান বিক্ষোভ নিয়ে রুশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে টেলিগ্রাম পোস্টে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের বর্তমান ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ লিখেছেন, জর্জিয়ায় ‘বিপ্লবের চেষ্টা’ করা হয়েছে।