বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের স্বীকৃতি পেয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাসপোর্ট। গত বছর ৩৫তম স্থানে থাকলেও এ বছর এটি প্রথম স্থান অর্জন করেছে।
কনসার্টিং ফার্ম নোম্যাড ক্যাপিটালিস্ট ২০২৩ সালের পাসপোর্ট সূচক প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের পাসপোর্টে ৩৭ দশমিক ৫০ স্কোর নিয়ে ১৮২তম অবস্থানে রয়েছে। খবর খালিজ টাইমসের
ভ্রমণ, ট্যাক্স, দ্বৈত নাগরিকত্ব, দৃষ্টিভঙ্গী এবং স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ওপর ভিত্তি করে পাসপোর্টের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে কনসার্টিং ফার্ম নোম্যাড ক্যাপিটালিস্ট।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘আমরা ভিসামুক্ত, অন অ্যারাইভাল ভিসা এবং ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশনভুক্ত (ইটিএ) দেশগুলোকে হিসাবে রেখে ভ্রমণ স্কোর নির্ধারণ করি। সেই হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ১৮১টি দেশে ভ্রমণ করতে পারে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাসপোর্টধারীরা ১১৬টি দেশে ভিসা ছাড়াই (ভিসামুক্ত দেশ) প্রবেশ করতে পারে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাসপোর্টধারীরা ৫৮টি দেশে অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে প্রবেশ করতে পারে এবং ৭টি ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (ইটিএ) গন্তব্যে প্রবেশ করতে পারে।’
এ বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাসপোর্ট মোট ১১০ দশমিক ৫০ স্কোর অর্জন করেছে এবং পাসপোর্টটি ব্যবহার করে ১৮১টি দেশে ভ্রমণ করা যাবে।
শীর্ষ ১০ শক্তিশালী পাসপোর্ট হলো- ১. সংযুক্ত আরব আমিরাত; ২. লুক্সেমবার্গ; ৩. সুইজারল্যান্ড; ৪. আয়ারল্যান্ড; ৫. পর্তুগাল; ৬. জার্মানি; ৭. চেক প্রজাতন্ত্র; ৮. নিউজিল্যান্ড; ৯. সুইডেন; ১০. ফিনল্যান্ড।
নোমাড ক্যাপিটালিস্টের তথ্য অনুযায়ী, এই সূচকে ৩৭ দশমিক ৫০ স্কোর পেয়ে ১৮২তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থান। বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা ভিসামুক্ত অথবা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় বিশ্বের ৪৯টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন।
নোমাড ক্যাপিটালিস্টের এই সূচকে ৪৩তম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট। এছাড়া যুক্তরাজ্য ৩০তম এবং ৩৯তম স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া।